কেষ্টপুরে মৃত যুগল যে আত্মঘাতী হয়েছেন, তা মানতে রাজি নন তাঁদের পরিজনেরাই। তাঁদের বক্তব্য, এর পিছনে রহস্য আছে।
রবিবার কেষ্টপুরে রামমোহন দত্ত ও শ্রুতিকা তিওয়ারি নামে ওই দুই তরুণ-তরুণীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছে তাঁদের পরিবার। তবে শ্রুতিকার দিদিমা বলছেন, ‘‘আমাদের মেয়েকে ওদের ছেলে খুন করেছে।’’ আবার রামমোহনের বাবা বলেন, ‘‘ছেলের সঙ্গে ওই মেয়েটির সম্পর্ক নিয়ে আমাদের আপত্তি ছিল না। তবে, গত ছ’মাসে আমার ছেলে ব্যবসার টাকা সব ওই মেয়েটি আর তার পরিবারের জন্য খরচ করেছে। আমার ছেলের আত্মহত্যা করার মতো মানসিকতাই ছিল না। আমি পুলিশে অভিযোগ করব।’’
সোমবার রামমোহনের মৃতদেহ শিবপুর বাঁশতলা ঘাটে আর শ্রুতিকার মৃতদেহ নিমতলা মহাশ্মশানে আলাদা আলাদা ভাবে দাহ করা হয়। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, ‘‘ময়না-তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট আসেনি। তবে সুইসাইড নোট ভাল করে খতিয়ে দেখে দুই পরিবারের সঙ্গেই পুলিশ কথা বলবে।’’