দুই বাসের রেষারেষির জেরে ফের দুর্ঘটনা শহরে। আহত ছ’জন যাত্রী। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ঠাকুরপুকুরের পোড়া অশ্বত্থতলার এই ঘটনায় পাঁচ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও সুমিত্রা সরকার নামে এক মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি স্থানীয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি। বাস দু’টিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালকেরা পলাতক।
এ দিনের ঘটনার পরে অনেকেই বেহালা-ঠাকুরপুকুর এলাকার যান চলাচল ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মাসখানেক আগেই দু’টি বাসের রেষারেষির জেরে বেহালায় এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়। তখন ছাত্রী ও শিক্ষকদের রাস্তা অবরোধের মুখে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছিল, বেপরোয়া যান চলাচলে লাগাম টানা হবে। কিন্তু এ দিনের ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সে দিনের আশ্বাস কার্যত কথাতেই রয়ে গিয়েছে।
কী হয়েছে এ দিন? পুলিশ জানায়, বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ এসডি-১৮ রুটের ভিড়ে ঠাসা দু’টি বেসরকারি বাস ধর্মতলার দিকে যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, বহু ক্ষণ ধরেই দু’টি বাসের মধ্যে রেষারেষি চলছিল। পোড়া অশ্বত্থতলার কাছে একটি বাস আর একটি বাসকে পাশ কাটাতে গিয়ে ধাক্কা মারে। ঘটনার আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন যাত্রীরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চালকেরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁরাই প্রথমে উদ্ধারকাজে নামেন। পরে পুলিশ এসে আহত যাত্রীদের বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত যাত্রী সুমিত্রা সরকারের এক আত্মীয়ার অভিযোগ, ডায়মন্ড হারবারে বাসের রেষারেষির জেরে অতীতে বহু দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেও আতঙ্কিত লিলি হালদার নামে আর এক মহিলা যাত্রী। তিনিও সামান্য আহত। লিলির কথায়, “ঘটনার পরেই জ্ঞান হারিয়েছিলাম। পরে হাসপাতালে জ্ঞান ফেরে। কোনও রকমে বেঁচে গিয়েছি।”
এই রেষারেষিতে বাসমালিকদের সংগঠন ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস’-এর নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত পুলিশের ঘাড়েই দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “রেষারেষি বন্ধের জন্য পুলিশকে আমরা চিঠি লিখেছি। কিন্তু ওরা কোনও রকম ব্যবস্থা নেয়নি।”