ধার না মেটানোয় ‘অপহৃত’ ব্যবসায়ী

জোড়াসাঁকোর এক ব্যবসায়ীকে উত্তরপ্রদেশে আটকে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীর পরিবারের তরফে অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অপহৃতের নাম মহম্মদ সাবির। পুলিশ জানায়, রবিবার সাবিরের ভাই হাসান রাজা অভিযোগ করেন, সাবিরকে উত্তরপ্রদেশের নাগিনায় আটকে রেখেছে সেখানকার বাসিন্দা মহম্মদ নাসির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৪০
Share:

জোড়াসাঁকোর এক ব্যবসায়ীকে উত্তরপ্রদেশে আটকে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীর পরিবারের তরফে অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অপহৃতের নাম মহম্মদ সাবির।

Advertisement

পুলিশ জানায়, রবিবার সাবিরের ভাই হাসান রাজা অভিযোগ করেন, সাবিরকে উত্তরপ্রদেশের নাগিনায় আটকে রেখেছে সেখানকার বাসিন্দা মহম্মদ নাসির। হাসানের আরও অভিযোগ, শনিবার রাতে নাসির তাঁদের ফোনে জানায়, ১০ লক্ষ টাকা দিলে ছাড়া হবে সাবিরকে। অভিযোগ পেয়ে রবিবার হাসান ও চার জন পুলিশের একটি দল রওনা দিয়েছে উত্তরপ্রদেশে।

পুলিশ জানায়, দশ বছর আগে সাবিরের ফলের ব্যবসা ছিল। কিন্তু ক্ষতি হওয়ার পরে তিনি ব্যবসা বন্ধ করে দেন। এখন তিনি অন্য ব্যবসায় যুক্ত। ৩১ মার্চ সাবির ও তাঁর বন্ধু নাসিরুদ্দিন মুম্বই রওনা দেন। মুম্বই থেকে তাঁরা প্রথমে দিল্লি, পরে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে যান। সেখানে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, নতুন করে ফলের ব্যবসা শুরু করবেন। সে কারণে উত্তরপ্রদেশের নাগিনায় এক আম ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা করতে যান সাবির ও নাসিরুদ্দিন। সেখানেই নাসিরের সঙ্গে দেখা হয় তাঁদের। এর পরে তাঁদের দু’জনকেই নাসির আটকে রাখে বলে অভিযোগ।

Advertisement

কিন্তু কে এই নাসির? আটকে রাখার কারণই বা কী?

পুলিশ জেনেছে, ব্যবসার শুরুতে নাসিরের থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সাবির। কিন্তু ক্ষতি হওয়ায় সেই টাকা ফেরত দিতে পারেননি। নাগিনায় নাসিরের সঙ্গে দেখা হওয়ার পরে তিনি সাবিরের থেকে সুদ ও আসল-সহ মোট ১০ লক্ষ টাকা চান বলে অভিযোগ। সাবির দিতে না পারায় তাঁকে ও নাসিরুদ্দিনকে আটকে রেখে বাড়িতে ফোন করে বকেয়া টাকা চান নাসির।

সোমবার সাবিরের বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেল, পাড়ার লোকজন ভিড় করে রয়েছেন। সাবিরের বৃদ্ধা মাকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। সাবিরের এক বন্ধু বলেন, “দোতলা বাড়ির নীচে একটি ঘরে ফলের ব্যবসা করতেন সাবির। কিন্তু ক্ষতি হওয়ায় ওই ঘরেই অন্য ব্যবসা শুরু করেন। এক ছেলে, এক মেয়ে, বৃদ্ধা মা ও স্ত্রীকে নিয়ে কোনওরকমে সংসার চলছিল তাঁর। কিন্তু তাঁকে আটকে রেখে এত টাকা চাওয়ায় দুশ্চিন্তায় সকলেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন