নিজস্ব স্টেডিয়াম পাবে বিশ্ববিদ্যালয়

ক্রীড়া মন্ত্রকের অনুদানে নিজস্ব ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরি করছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এর জন্য মন্ত্রক থেকে ছ’কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। রবীন্দ্র সরোবরের পাশে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোয়িং ক্লাব আছে, সেখানেই স্টেডিয়ামটি হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। স্টেডিয়ামের প্রাথমিক নকশা ক্রীড়া মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছিল এবং তা গৃহীত হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে।

Advertisement

সাবেরী প্রামাণিক

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:০০
Share:

ক্রীড়া মন্ত্রকের অনুদানে নিজস্ব ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরি করছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এর জন্য মন্ত্রক থেকে ছ’কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। রবীন্দ্র সরোবরের পাশে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোয়িং ক্লাব আছে, সেখানেই স্টেডিয়ামটি হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। স্টেডিয়ামের প্রাথমিক নকশা ক্রীড়া মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছিল এবং তা গৃহীত হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে।

Advertisement

ময়দানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টেন্ট আছে। এখন সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধূলা হয়ে থাকে। স্টেডিয়াম তৈরি হয়ে গেলে সেখানেই সে সব হবে।

কেমন হবে এই স্টেডিয়াম? বিশ্ববিদ্যালয়ের নকশা অনুযায়ী, স্টেডিয়ামের মাঝখানে থাকবে খেলার জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক বলেন, “স্টেডিয়ামটি হবে মাল্টি-কমপ্লেক্স ধরনের। অর্থাৎ একটি খেলা হয়ে যাওয়ার পরে অন্য খেলার সরঞ্জাম সাজিয়ে জায়গাটি প্রয়োজন মতো বদলানো যাবে। খেলার জায়গায় একটি বাস্কেটবল কোর্ট বা চারটি ব্যাডমিন্টন বা টেবিল টেনিস কোর্ট অথবা দু’টি কাবাডি কোর্ট তৈরি করা যেতে পারে।” স্টেডিয়ামের দু’দিকে মোট ১৬৬ জনের বসার জায়গা ছাড়াও ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক জিমন্যাশিয়াম, শৌচাগার, এসি প্লান্ট, বৈদ্যুতিক রুম ইত্যাদি থাকবে।

Advertisement

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রথম কিস্তিতে ৫৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষের সই সমেত সেই টাকা খরচের হিসেব, ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট ইত্যাদি জমা দেওয়া হলে পাওয়া যাবে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা। উপাচার্য সুরঞ্জনবাবু বলেন, “একটি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা আছে আমাদের। প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার পে-অর্ডার হয়ে গিয়েছে। টাকা হাতে পেলেই কাজ শুরু হবে। আশা করছি এ বছর ৩১ মার্চের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন