পুর উদ্যোগে সেজে উঠছে লেকটাউন থেকে বাঙুর

শিশু থেকে বৃদ্ধ— বাঙুরে সব বয়সের মানুষের জন্যই ‘থিম পার্ক’ তৈরি করেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। সৌর্ন্দযায়ন হচ্ছে ভিআইপি রোড সংলগ্ন নয়ানজুলিরও। নয়ানজুলি পেরোনোর জন্য তৈরি হয়েছে আলোকিত ঝুলন্ত সেতুও। দক্ষিণ দমদম পুরসভার আধিকারিকদের দাবি, প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করে এর আগে পরিবেশ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভার বাঙুর এলাকা। এ বার এই সৌর্ন্দযায়ন অন্যান্য পুরসভা থেকে এগিয়ে দিল দক্ষিণ দমদম পুরসভাকে।

Advertisement

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৪ ০০:০৫
Share:

সেজে উঠেছে থিম পার্ক।

শিশু থেকে বৃদ্ধ— বাঙুরে সব বয়সের মানুষের জন্যই ‘থিম পার্ক’ তৈরি করেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। সৌর্ন্দযায়ন হচ্ছে ভিআইপি রোড সংলগ্ন নয়ানজুলিরও। নয়ানজুলি পেরোনোর জন্য তৈরি হয়েছে আলোকিত ঝুলন্ত সেতুও। দক্ষিণ দমদম পুরসভার আধিকারিকদের দাবি, প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করে এর আগে পরিবেশ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভার বাঙুর এলাকা। এ বার এই সৌর্ন্দযায়ন অন্যান্য পুরসভা থেকে এগিয়ে দিল দক্ষিণ দমদম পুরসভাকে।

Advertisement

বাঙুরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্যের দাবি, “লেকটাউন থেকে বাঙুর পর্যন্ত নয়ানজুলির সৌর্ন্দযায়নে আমরাই পথিকৃৎ।” সৌর্ন্দযায়ন হয়েছে গোলাঘাটার নয়ানজুলিরও। সেখানেও নয়ানজুলির পাশে ছোট পার্ক তৈরি হয়েছে। এলাকার বিধায়ক তথা দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুজিত বসু বলেন, “আগে এই নয়ানজুলি সংলগ্ন এলাকাগুলি ছিল আবর্জনা ফেলার জায়গা। এখন সৌর্ন্দযায়নের পরে ভিআইপি রোডের ধারে এই নয়ানজুলিই দর্শনীয় স্থান হয়ে গিয়েছে।”

বাঙুর থেকে ডি ব্লক পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা পার্কগুলিরও সংস্কার করা হয়েছে। নতুন নতুন পার্ক তৈরি হয়েছে সব বয়সী মানুষদের জন্য। বাঙুরের বিভিন্ন পার্কগুলির সৌর্ন্দযায়ন করার ক্ষেত্রে দক্ষিণ দমদম পুরসভার সঙ্গে আছে ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিটিও।

Advertisement

নয়ানজুলির উপরে ঝুলন্ত সেতু দিয়ে বা নৌকা করেও পারাপার করা যাবে। পরিবেশের ভারসাম্য মেনে নয়ানজুলির সৌর্ন্দযায়ন করা হচ্ছে বলে এর নাম ‘ইকো নেস্ট।’ থাকবে ১৬ টি ফুড স্টল, দু’টি কাফেটেরিয়া। বোটিংও করা যাবে এখানে। নয়ানজুলিতে থাকবে আটটি ঝরনা। বাঙুরের ডি ব্লকের আবোলতাবোল পার্কে ঢুকলেই, হাসজারু, কাতুকুতু বুড়ো, চণ্ডীদাসের খুড়োর দেখা পাবে ছোটরা। পুরসভার আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, ছোটদের এই পার্কে সুকুমার রায়ের আবোলতাবোল-এর সব চরিত্ররাই হাজির থাকবে। পার্কে ঢুকলেই আবোলতাবোল ছড়াগুলি সুরে শুনতে পাওয়া যাবে।

এর অদূরেই তৈরি হয়েছে, বয়স্কদের ‘আপন জন’। এই পার্কে মেডিটেশন থেকে যোগব্যায়ামের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া এমন কিছু মূর্তি থাকছে যা বয়স্ক নাগরিকদের জীবনের সঙ্গে মিলে যায়। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারপার্সন অঞ্জনা রক্ষিত বলেন, “বাঙুরে বিভিন্ন বয়সী মানুষের জন্য আলাদা আলাদা পার্ক সত্যিই অভিনব।” ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক অতীন রায় বলেন, “মহিলাদের জন্য এই পার্কের এক দিকে থাকছে মুক্তমঞ্চ। আবার মেয়েদের ঘরোয়া অনুষ্ঠনের জন্যও মঞ্চ থাকছে। পার্কের পুকুরে থাকছে লেজার শোয়ের ব্যবস্থা।” যুবক-যুবতীদের জন্য বাঙুর ও লেকটাউনের মাঝে দীঘির এক পাশে তৈরি হয়েছে ‘রূপসী বাংলা’ পার্ক। লেকটাউন থেকে বাঙুরে যেতে গেলে এর মধ্যে দিয়েই যেতে হবে। দীঘির পাশে থাকছে বসার জায়গা। রুপসী

বাংলার নানা ছবি আঁকা থাকছে পার্কে। স্থানীয় কাউন্সিলর মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, “প্রতিটি পার্কেই নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো থাকছে।”

শুধু পার্ক বা নয়ানজুলিই নয় লেকটাউনে তৈরি হয়েছে শহরের প্রথম বাতানুকুল বাসস্ট্যান্ড। বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সৌর্ন্দযায়ন প্রক্রিয়া চলছে। বাতানুকুল বাসস্ট্যান্ড সেই সৌর্ন্দযায়নেরই একটি অংশ। এই বাতানুকুল বাসস্ট্যান্ডটি সফল ভাবে চললে আরও কিছু বাতানুকুল বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হবে।”

ছবি: দেবীপ্রসাদ সিংহ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন