পার্কিং জোনে ‘বেআইনি’ গাড়ি, সঙ্কীর্ণ হচ্ছে রাস্তা

পুরসভার প্রধান কার্যালয় লাগোয়া এবং আশপাশের রাস্তায় বেআইনি পার্কিং চলছে বলে অভিযোগ। এই অঞ্চলে নির্দিষ্ট পার্কিং জোন আছে। কিন্তু অভিযোগ, এই সব জায়গায় বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত গাড়ি পার্ক করা হচ্ছে। এর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে পুরসভার গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট লোগোও। এস এন ব্যানার্জি রোড পুরসভার সদর অফিস সংলগ্ন রাস্তা।

Advertisement

দীক্ষা ভুঁইয়া

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৩৭
Share:

পুরসভার পাশে রাস্তা জুড়ে পার্কিং। সঙ্কীর্ণ হয়েছে চলার পথ।

পুরসভার প্রধান কার্যালয় লাগোয়া এবং আশপাশের রাস্তায় বেআইনি পার্কিং চলছে বলে অভিযোগ। এই অঞ্চলে নির্দিষ্ট পার্কিং জোন আছে। কিন্তু অভিযোগ, এই সব জায়গায় বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত গাড়ি পার্ক করা হচ্ছে। এর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে পুরসভার গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট লোগোও। এস এন ব্যানার্জি রোড পুরসভার সদর অফিস সংলগ্ন রাস্তা। সেখানে পুরসভার আধিকারিকদের গাড়ি থাকার কথা। কিন্তু থাকছে বাইরের গাড়িও। অভিযোগ, পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা পুরসভার নিরপত্তারক্ষী এবং গ্রিন পুলিশদের মদতে এই কাজ চলছে। পুরসভা আশপাশের রাস্তার বৈধ পার্কিং জোনেও বেশি গাড়ি থাকছে। এ ভাবে পার্কিংয়ের জন্য রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে সমস্যায় পড়ছেন পথচারী থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (পার্কিং) দেবাশিস কুমার বলেন, “অভিযোগের কথা জানি। কিন্তু আইন ভেঙে পার্কিং হচ্ছে কি না তা দেখার দায়িত্ব পুলিশের।”

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, পুরসভা লাগোয়া রাস্তায় সকাল থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত মূলত পুরসভার আধিকারিকদের গাড়ি রাখার কথা। তার জন্য নির্দিষ্ট লোগো বা স্টিকার ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু অভিযোগ, পুরসভার ফাইলে থাকা লোগো ব্যবহার করে অন্য গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা লোকজনই।


মতি শীল স্ট্রিটে এ ভাবেই থাকে গাড়ি।

Advertisement

নিউ মার্কেটের পাশে চার্লি চ্যাপলিন স্কোয়্যার এবং চ্যাপলিন পার্কের মুখ থেকে বারট্রাম স্ট্রিটের এক ধারে রয়েছে বৈধ পার্কিং জোন। দ্বিতীয় পার্কিং জোনটি শেষ হয়েছে লিন্ডসে রোডে গিয়ে। এখানে আলাদা আলাদা দু’টি পার্কিং জোন রয়েছে। এর মধ্যে ৬০টির মতো গাড়ি পার্ক করা যায়। অভিযোগ, এখানে তার থেকে বেশি গাড়ি পার্ক করানো হচ্ছে। একই ভাবে নিয়ম ভাঙা হয় মতি শীল স্ট্রিটেও। লেনিন সরণি থেকে এস এন ব্যানার্জি রোডের মধ্যে এই পার্কিং জোনে মোট গাড়ি থাকার কথা আটটি। কিন্তু অভিযোগ, এখানে এর থেকে অনেক বেশি গাড়ি থাকে। দু’টি সারিতে গাড়ি পার্ক করা থাকে। ফলে রাস্তা সরু হয়ে গিয়েছে। মতি শীল স্ট্রিটের ব্যবসায়ী সংগঠন ‘সেন্ট্রাল ক্যালকাটা ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর অভিযোগ, তাঁদের দোকানের সামনের সারা দিন ধরে দু’টি সারিতে ছোট-বড় ম্যাটাডর দাঁড়িয়ে থাকে। তাঁদের ব্যবসায় সমস্যা হয়। বার বার পুরসভার কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।

পুরসভার এক আধিকারিক জানান, পুরসভা লাগোয়া রাস্তাটির জন্য যাঁরা দায়িত্বে থাকেন, তাঁরাই পুরসভার নির্দিষ্ট ওই স্টিকার লাগিয়ে বাইরের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেন। এর জন্য আলাদা ভাবে অর্থও নেন। দেবাশিস কুমার বলেন, “কোন পার্কিং জোনে ক’টি গাড়ি থাকবে তা নির্দিষ্ট করা আছে। সেই তালিকা পুলিশের কাছেও দেওয়া আছে।” কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক দিলীপ আদক বলেন, “পুরসভার লাগোয়া আধিকারিকদের গাড়ি রাখার জায়গাটি পুরসভার নিজের। সেখানে বেআইনি পার্কিং হলে আমাদের অভিযোগ জানাতে হবে। বাকি পার্কিং জোনগুলিতে বেআইনি পার্কিং দেখলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”

ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন