পার্ক স্ট্রিটে সুরক্ষায় পঞ্চাশটি ক্যামেরা

প্রায় পঞ্চাশটি চোখের নজরদারি। আসন্ন বড়দিন এবং বর্ষবরণ উৎসব শুরুর আগে পার্ক স্ট্রিটের প্রাপ্তি এটাই। অপরাধ রুখে রাতের পার্ক স্ট্রিটে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কলকাতা পুলিশের নয়া হাতিয়ার পার্ক স্ট্রিট এবং ক্যামাক স্ট্রিট জুড়ে বসানো ৫০টি নজর-ক্যামেরা। আজ, মঙ্গলবার পার্ক স্ট্রিটে আলোকসজ্জার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:২৩
Share:

প্রায় পঞ্চাশটি চোখের নজরদারি। আসন্ন বড়দিন এবং বর্ষবরণ উৎসব শুরুর আগে পার্ক স্ট্রিটের প্রাপ্তি এটাই। অপরাধ রুখে রাতের পার্ক স্ট্রিটে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কলকাতা পুলিশের নয়া হাতিয়ার পার্ক স্ট্রিট এবং ক্যামাক স্ট্রিট জুড়ে বসানো ৫০টি নজর-ক্যামেরা। আজ, মঙ্গলবার পার্ক স্ট্রিটে আলোকসজ্জার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

আলিপুর এবং বড়বাজারের মতো এ বার শহরের মেজ-সেজ রাস্তা বা অলিগলিও সিসিটিভি-র নজরদারিতে মুড়ে ফেলতে চায় পুলিশ। সেই পরিকল্পনারই অংশ পার্ক স্ট্রিট ও ক্যামাক স্ট্রিটে সিসিটিভি বসানো। প্রথম পর্যায়ে পার্ক স্ট্রিটের চৌরঙ্গি সংযোগস্থল থেকে মল্লিকবাজার পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে ক্যামেরা বসবে।

কলকাতা পুলিশের এক কর্তা সোমবার বলেন, “ক্যামেরা কোথায় বসানো হবে, সেই জায়গা চিহ্নিত করে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বড়দিনের উৎসব শুরুর আগেই ওই সব সিসিটিভি নজরদারির কাজ শুরু করে দেবে।” পুলিশের দাবি, ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরানো যাবে এমন অত্যাধুনিক ক্যামেরাই বসছে পার্ক স্ট্রিটে। এতে রাতে নজরদারির জন্য নাইট ভিশন ও ছবি ‘জুম’ করার ব্যবস্থাও থাকছে।

Advertisement

শহরে অপরাধ রুখতে, আইন-শৃঙ্খলা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখতে কলকাতা পুলিশ আগেই ১৫০টি জায়গায় ৪০০-র বেশি নজর-ক্যামেরা বসিয়েছে। পুলিশের মূল কন্ট্রোল রুম এবং ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি অন্য একটি কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে পুলিশকর্মীরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি করেন ওই ক্যামেরার সাহায্যে। বাদ ছিল পার্ক স্ট্রিট। প্রতি বছর বড়দিন এবং বর্ষবরণ উৎসব উপলক্ষে রাতে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয় ওই এলাকায়।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রতি বছর ওই সময় পার্ক স্ট্রিটের নিরাপত্তায় অস্থায়ী ভাবে কিছু নজর-ক্যামেরা বসানো হয়। এ বারই প্রথম স্থায়ী ভাবে তা বসানো হচ্ছে। তবে এই উদ্যোগ সফল করতে পুলিশের ভরসা শহরের নাগরিকেরাই। পুলিশ জানায়, পার্ক স্ট্রিট ও ক্যামাক স্ট্রিটে ‘সিটিজেন্স ফোরাম’-এর সহায়তায় ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। লালবাজার সূত্রে খবর, সিসিটিভি-র মূল কন্ট্রোল রুম হচ্ছে ডেপুটি কমিশনারের অফিসে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চলবে।

আগে পার্ক স্ট্রিট ও ক্যামাক স্ট্রিটের বিভিন্ন শপিং মল কর্তৃপক্ষ বা হোটেল-মালিকদের সিসিটিভি বসাতে অনুরোধ করেছিল পুলিশ। সেই মতো অনেকে সিসিটিভি বসিয়েছেন। কিন্তু তার উপরে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ নেই। এক পুলিশকর্তার কথায়, “অলিগলিতে সিসিটিভি বসানোর মতো টাকা পুলিশের নেই। তাই নাগরিকদের চেষ্টাতেই আলিপুর ও বড়বাজারের মতো পার্ক স্ট্রিটেও ক্যামেরা বসছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন