সল্টলেক

পুরসভার জলে ব্যাঙাচি, অভিযোগ অস্বীকার কর্তৃপক্ষের

সকালে পুরসভা থেকে সরবরাহ করা ‘পরিস্রুত’ জল ভরার সময়ে দেখা গেল কিলবিল করছে ব্যাঙাচি। গৃহকর্ত্রী সেই জল ফেলে ফের কল খুলে জল ভরলেন। তখনও একই দশা। দুপুরের দিকে গৃহকর্তা চন্দন লাহিড়ীও ফের জল ভরতে গেলে একই কাণ্ড ঘটে। শুক্রবার সল্টলেকের বি এইচ ব্লকের একটি বাড়ির ঘটনা। সমস্যার কারণ দর্শাতে গিয়ে বাসিন্দাদের একাংশের সঙ্গে পুর-কর্তৃপক্ষের মতান্তর উঠে এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৪ ০২:১৫
Share:

সকালে পুরসভা থেকে সরবরাহ করা ‘পরিস্রুত’ জল ভরার সময়ে দেখা গেল কিলবিল করছে ব্যাঙাচি। গৃহকর্ত্রী সেই জল ফেলে ফের কল খুলে জল ভরলেন। তখনও একই দশা। দুপুরের দিকে গৃহকর্তা চন্দন লাহিড়ীও ফের জল ভরতে গেলে একই কাণ্ড ঘটে।

Advertisement

শুক্রবার সল্টলেকের বি এইচ ব্লকের একটি বাড়ির ঘটনা। সমস্যার কারণ দর্শাতে গিয়ে বাসিন্দাদের একাংশের সঙ্গে পুর-কর্তৃপক্ষের মতান্তর উঠে এসেছে।

সল্টলেকে পরিস্রুত এবং ভূগর্ভস্থ জল মিশিয়ে ওভারহেড জলাধার থেকে সরাসরি পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পাঠানো হয়। বাড়িতে ভূগর্ভস্থ রিজার্ভারে সেই জল ধরে রাখা হয়। এর পরে ওভারহেড জলাধারে তা তুলে নিয়ে ব্যবহার করেন তাঁরা। বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, যে জলাধার থেকে জল সরবরাহ করা হয় তা দীর্ঘ দিন পরিষ্কার করা হয় না। অভিযোগ অস্বীকার করে পুর-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, জলাধার নিয়মিত পরিষ্কার হয়। এমন কেন হল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ওই বাড়ির ভূগর্ভস্থ জলাধার পরীক্ষা করে ব্যাঙাচির সন্ধান মেলেনি।

Advertisement

গৃহকর্তা চন্দনবাবু জানান, পুরসভার জল সরাসরি জলাধারে জমা হলেও তাঁদের বাড়িতে সরাসরি কল থেকেও ওই জল ব্যবহারের ব্যবস্থা আছে। সকালে পুরসভার সরবরাহ করা জল সরাসরি কল খুলে নেওয়া হয়। আর তাতেই বিপত্তি। তাঁর আরও বক্তব্য, “প্রাথমিক ভাবে নিজের বাড়ির সমস্যা মনে হলেও পরে অন্য একটি কলেও দেখা যায় একই অবস্থা।

সল্টলেক পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা মহকুমা শাসক সঞ্জয় দাসের দাবি, শুধু নিয়মিত জলাধার পরিষ্কার করাই নয়, জলের গুণমানও পরীক্ষা করা হয়। ওই বাড়িতে পুরকর্মীরা গিয়ে পরীক্ষা করেছেন। কিন্তু ভূগর্ভস্থ জলে কিছুই মেলেনি। ওই এলাকায় অন্য কোনও বাড়িতেও এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। যদি ওভারহেড জলাধার থেকে এমন হত তবে একটি বাড়িতে নয়, একাধিক বাড়িতে এই সমস্যা হত। তা ছাড়া পরে ওই বাড়ির জলেও তেমন কিছু মেলেনি।

তবে ব্যাঙাচি এল কোথা থেকে? সদুত্তর মেলেনি কোনও তরফেই।

স্থানীয় কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন চেয়ারপার্সন অনিতা মণ্ডল বলেন, “পুর-কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন।” বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর সাফ কথা, জল সরবরাহ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। জলাধার পরিষ্কার করা, নিয়মিত গুণমান পরীক্ষার কাজও করা হয়। পুরসভার সরবরাহ করা জলে এমন কিছু হতেই পারে না।

যদিও পুর-প্রশাসনের একাংশের দাবি, অনেকেই ভূগর্ভস্থ জলাধার বাড়িয়ে নিয়েছেন। ফলে সোক পিট থেকে তার দূরত্ব কমছে। বৃষ্টির সময়ে সোক পিটের জল ভরে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই বাড়ির ভূগর্ভস্থ জলাধারের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও জল এবং নিকাশি নালা মিশে গিয়েছে। সেখান থেকেও এমন বিপত্তি ঘটতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে তেমন কোনও প্রমাণও মেলেনি।


(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন