ভিআইপি রোড

পথে পলি, উল্টোল ৪০টি বাইক

ছুটির সকালে হাত দেখিয়ে দাঁড়াতে বলছে পুলিশ। পরপর মোটরবাইকের তাতে থোড়াই কেয়ার। কিন্তু গতি বাড়িয়ে এগোতে গিয়েই সোজা চাকা পিছলে পপাত ধরণীতলে। বৃষ্টিভেজা পথে কাদা-মেখে ভূত তো বটেই, অল্পস্বল্প চোটও বাদ যাচ্ছে না। এক-আধটা নয়, পরপর ৪০টি মোটরবাইকের এমনই হাল দেখল রবিবারের দমদম পার্ক। রাজপথে গড়াগড়িতে বাদ গেলেন না মোটরবাইক আরোহী পুলিশকর্মীও। সৌজন্যে ভিআইপি রোডের ধারে জমিয়ে রাখা পলির স্তূপ। বৃষ্টিতে ধুয়ে যা গড়িয়ে আসে রাস্তার মাঝখানে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৪ ০২:২৯
Share:

ছুটির সকালে হাত দেখিয়ে দাঁড়াতে বলছে পুলিশ। পরপর মোটরবাইকের তাতে থোড়াই কেয়ার। কিন্তু গতি বাড়িয়ে এগোতে গিয়েই সোজা চাকা পিছলে পপাত ধরণীতলে। বৃষ্টিভেজা পথে কাদা-মেখে ভূত তো বটেই, অল্পস্বল্প চোটও বাদ যাচ্ছে না। এক-আধটা নয়, পরপর ৪০টি মোটরবাইকের এমনই হাল দেখল রবিবারের দমদম পার্ক। রাজপথে গড়াগড়িতে বাদ গেলেন না মোটরবাইক আরোহী পুলিশকর্মীও। সৌজন্যে ভিআইপি রোডের ধারে জমিয়ে রাখা পলির স্তূপ। বৃষ্টিতে ধুয়ে যা গড়িয়ে আসে রাস্তার মাঝখানে।

Advertisement

কিন্তু কেন এই অবস্থা? স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাসখানেক আগেই কেষ্টপুর খাল সংস্কার হয়। তার জন্য মাটি তুলে রাস্তার পাশে রাখা হয়েছিল। বৃষ্টিতে তা গলে রাস্তায় চলে আসে। তাই এই দুর্ঘটনা। লেকটাউন ট্রাফিক গার্ডের এক পুলিশকর্মী জানান, এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে প্রায় ৪০টি মোটরবাইক পিছলে পড়েছে। তবে গুরুতর আহত হননি কেউ। কয়েক জনকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক ব্যক্তি রমেশ চৌধুরী বলেন, “মোটরবাইকে মেয়েকে টিউশনে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কাদা থাকায় যথেষ্ট আস্তেই চালাচ্ছিলাম। তবুও রক্ষা পেলাম না।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সপ্তাহের অন্য দিন হলে গাড়ির চাপ থাকত এবং বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত। বিষয়টি নজরে আসার পরে তৎপর হয়েছে পুলিশও। ঘটনাস্থলের কিছু দূরে দাঁড়িয়ে বাইক-আরোহীদের থামিয়ে সচেতন করার চেষ্টাও হয়েছে। তাতেও ঘটেছে বিপত্তি। কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মী জানান, হেলমেট ছাড়া বা গাড়ির কাগজপত্র ছাড়াই রাস্তায় বেরোনোর জন্য ভয়ে অনেকেই গাড়ির গতি বাড়িয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছেন এবং কিছু দূর যাওয়ার পরেই পিছলে রাস্তার উপরে আছাড় খাচ্ছেন। তাই এর পরে চটজলদি রাস্তা পরিষ্কারের জন্য উদ্যোগী হয় পুলিশ।

Advertisement

বিধাননগরের এসিপি ট্রাফিক নীলাঞ্জনা বিশ্বাস জানান, দক্ষিণ দমদম পুরসভাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখান থেকে জলের গাড়ি আসছে। তা দিয়েই রাস্তা ধোয়া হচ্ছে। কিন্তু শুধু তাতে কি এই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব? বৃষ্টিতে তো ফের একই অবস্থা হবে।

সেচ দফতরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তার পাশে জমে থাকা মাটি খাল সংস্কার করার ফলে নয়। পিএইচ ই দফতর ওই এলাকায় জলের লাইনের কাজ করেছিল। তারাই মাটি জমিয়ে রাখে।” পি এইচ ই দফতরের এক আধিকারিক জানান, সম্প্রতি ওই জলের লাইনের কাজটি হয়েছে। শীঘ্রই তাঁরা ওই জায়গা থেকে পলি অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement