ফের অটোর দৌরাত্ম্য। এ বার বরাহনগর।
নির্দিষ্ট স্টপেজে না নামিয়ে এক মহিলা যাত্রীকে নিয়ে তীব্র গতিতে অটো ছোটাচ্ছিলেন চালক। কিছুটা যাওয়ার পরেই অটো থেকে লাফ দেন ওই তরুণী। অটোর পিছনের চাকা তাঁর ডান হাতের উপরে উঠে যায়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ জনবহুল ডানলপ মোড়ে এই দৃশ্য দেখে স্বভাবতই চমকে গিয়েছিলেন পথচারী এবং কর্তব্যরত পুলিশ। তবে তরুণীকে অটো থেকে ঝাঁপ দিতে দেখেই ছুটে এসেছিলেন পুলিশকর্মীরা। তাঁরাই তরুণীকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে, সেখান থেকে আর জি কর হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে অটোচালককেও পাকড়াও করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাত সওয়া ১০টা নাগাদ সিঁথির মোড় থেকে কামারহাটি-সিঁথির মোড় রুটের অটোয় ওঠেন বনহুগলির বাসিন্দা পম্পা বৈতালিক। অটোয় অন্য কোনও যাত্রী ছিলেন না। তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, বনহুগলি স্টপেজে তাঁকে নামানোর জন্য বললেও সেখানে অটো দাঁড় না করিয়ে উল্টে আরো গতি বাড়িয়ে দেন চালক। বারবার বলা সত্ত্বেও অটো থামাননি। এর পরে ডানলপ মোড়ের কাছে এসে দক্ষিণেশ্বরের দিকে মোড় ঘোরার সময়েই অটো থেকে লাফ দেন ওই তরুণী।
পুলিশ জানায়, তখন ডানলপ মোড়ে ছিলেন ডানলপ ট্রাফিক গার্ডের ওসি রঞ্জন রুদ্র। তিনি বিষয়টি দেখে অন্য কর্মীদের নিয়ে ছুটে যান। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরে পম্পার ডান হাতের উপরে অটোর চাকা উঠে যায়। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে মিলন ভোরে নামে অটোচালককে রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ওই তরুণী এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।
শুক্রবার সকালে ওই তরুণী ও অটোচালককে ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানে তরুণীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। জামিনে মুক্তি পেয়েছেন চালক।