ফের শহরে বেপরোয়া গাড়ির দাপট। এ বার যাদবপুরের সন্তোষপুরে।
শনিবার রাত ন’টা নাগাদ রাস্তা পার হতে গিয়ে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় জখম হয় তেরো বছরের একটি মেয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম কিশোরীর নাম ইন্দ্রাণী প্রামাণিক। রাতেই ইএম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়। উত্তেজিত জনতা দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিতে ভাঙচুর চালায়।
গত বৃহস্পতিবার রাতেই বিজন সেতুতে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় জখম হয়েছিলেন এক ফুটপাথবাসী। সেই দিনই রাত দু’টোয় ওই ব্যক্তি মারা যান। বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ কণিষ্ক মজুমদারকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ দিন জানিয়েছেন, শনিবার রাতে সন্তোষপুরের রাস্তা দিয়ে তীব্র গতিতে গাড়িটি যাচ্ছিল। এ সময় গাড়িটি প্রথমে একটি মোটর সাইকেলকে ধাক্কা মারে। তার পরে ইন্দ্রাণীকে। স্থানীয় বাসিন্দারাই চালককে ধরে ফেলেন। তাঁদের দাবি, গাড়িতে চালক ছাড়াও আরও জনা তিনেক লোক ছিল। জখম মেয়েটিকে কয়েক জন বাসিন্দা এবং পুলিশ মিলে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
গাড়ির চালক বছর কুড়ির যুবক প্রিয়জিৎ ভৌমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে যাদবপুরের বাসিন্দা। কলেজ পড়ুয়া প্রিয়জিতের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, জীবন বিপন্ন করার মতো গুরুতর আঘাত এবং অনিষ্ট করার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনটি ধারায় জামিনযোগ্য।