বিতর্কে বোধন বিধাননগর মেলার

পুরনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে মেলা পরিচালনার ভার নিয়েছিল খোদ স্থানীয় পুরসভাই। চার বছর আগেই তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল।এ বার মেলা পরিচালনার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। সংশোধিত বাজেট নিয়ে কাউন্সিলরদের বৈঠকে সরকারি ভাবে আপত্তির কথাও জানিয়েছেন তিনি। সেই বিতর্ক নিয়েই আগামী ৫ জানুয়ারি শুরু হতে চলেছে এ বছরের বিধাননগর মেলা (উত্‌সব)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:০৯
Share:

পুরনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে মেলা পরিচালনার ভার নিয়েছিল খোদ স্থানীয় পুরসভাই। চার বছর আগেই তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল।এ বার মেলা পরিচালনার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। সংশোধিত বাজেট নিয়ে কাউন্সিলরদের বৈঠকে সরকারি ভাবে আপত্তির কথাও জানিয়েছেন তিনি। সেই বিতর্ক নিয়েই আগামী ৫ জানুয়ারি শুরু হতে চলেছে এ বছরের বিধাননগর মেলা (উত্‌সব)।

Advertisement

সব্যসাচীবাবুর অভিযোগ, বঙ্গীয় পুর-আইনে পুরসভার মেলা করার বিধি নেই। তিনি আপত্তি জানান মেলা পরিচালনার আয়-ব্যয়ের হিসেব প্রক্রিয়া নিয়েও। পুর-চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, ‘‘মেলা এক সময়ে বন্ধ হতে চলেছিল। রাজ্য সরকারের অনুমতি পেয়েই পুরসভা দায়িত্ব নিয়েছে। তবে কেউ প্রশ্ন তুলতেই পারেন, তা নিয়ে কথা বলা হবে। মেলার আয়-ব্যয় নিয়ে রীতিমতো অডিট করা হয়।’’

সব্যসাচীবাবু পাল্টা জানান, যেহেতু বঙ্গীয় পুর-আইনে মেলা করার কোনও বিধি পুরসভার জন্য নেই, তাই অনুমতি দিতে গেলে পুর-আইনে সংশোধন আনতে হয়। তেমন কিছু তাঁরা জানা নেই। পাশাপাশি, যার অনুমতিই নেই, তার আয়-ব্যয়ের হিসেব কি ভাবে কোন নিয়মে বাজেটে দেখানো হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

Advertisement

রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পুরপ্রধানের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘নগরোন্নয়ন দফতর পুরসভাকে মেলার অনুমতি দিয়েছিল। সে জন্য সংশোধনীর প্রয়োজন হয় না। কেননা, পুর-আইনে অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে মেলা রয়েছে। পাশাপাশি, চেয়ারম্যান পারিষদদের অনুমতি নিয়ে চেয়ারপার্সন মিসলেনিয়াস অ্যাকাউন্ট পেশ করতেই পারেন। এ নিয়ে বিতর্কের প্রশ্ন ওঠে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন