ভোটে আপস নয় হাজিরার সঙ্গে, জানাল প্রেসিডেন্সি

পরীক্ষার সময় হাজিরা-বিধি থেকে সরে আসেনি। ছাত্রভোটের ক্ষেত্রেও পড়ুয়াদের দাবির কাছে নতি স্বীকার করল না প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। ন্যূনতম ৬০ শতাংশ হাজিরা না-থাকলে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে যুক্ত হওয়া যাবে না বলে বৃহস্পতিবার ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৪৮
Share:

পরীক্ষার সময় হাজিরা-বিধি থেকে সরে আসেনি। ছাত্রভোটের ক্ষেত্রেও পড়ুয়াদের দাবির কাছে নতি স্বীকার করল না প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

ন্যূনতম ৬০ শতাংশ হাজিরা না-থাকলে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে যুক্ত হওয়া যাবে না বলে বৃহস্পতিবার ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তের নড়চড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টস দেবশ্রুতি রায়চৌধুরী। ছাত্রছাত্রীরা জানান, তাঁরা এই নিয়ম মানেন না। সব ছাত্রছাত্রীকেই নির্বাচনে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

সকলকে নির্বাচনে যুক্ত হতে দেওয়ার দাবিতে আগেই কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। এ দিন দেবশ্রুতিদেবীর সঙ্গে বৈঠক ছিল পড়ুয়া-প্রতিনিধিদের। ডিন অব স্টুডেন্টস সেখানে জানিয়ে দেন, কোনও অবস্থাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবিধি শিথিল করা হবে না। তার পরে ছাত্রছাত্রীরাও চিঠি দিয়ে এর বিরোধিতা করেছেন।

Advertisement

বর্তমান ছাত্র সংসদের সভাপতি সুমাল্য মুখোপাধ্যায়, সহ-সভাপতি অমরদীপকুমার সিংহ-সহ প্রায় ১৮০ জনের হাজিরার হার ৬০ শতাংশের কম। তাঁদের কারও নামই ভোটার তালিকায় নেই। সকলকে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্তে হতে না-দিলে তাঁরা আন্দোলনের পথে যাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন সুমাল্য-অমরদীপেরা। কিন্তু তাঁরা যে পিছু হটছেন না, এ দিন সেই বার্তাই দিয়েছেন প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষ।

ছাত্রছাত্রীদের অনেকের প্রশ্ন, ডিন অব স্টুডেন্টস হওয়া সত্ত্বেও দেবশ্রুতিদেবী কেন তাঁদের দিকটি বিবেচনা করছেন না?

“ছাত্রছাত্রীদের আবেগের ব্যাপারটা অবশ্যই বুঝতে পারছি। কিন্তু নিয়ম তো মানতেই হবে,” বলেছেন ডিন অব স্টুডেন্টস।

ক্লাসে উপস্থিতির হার কম থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিতে গত নভেম্বরে আন্দোলন শুরু করেছিলেন প্রেসিডেন্সির এক দল পড়ুয়া। ছাত্রছাত্রীদের দাবি মেনে ন্যূনতম উপস্থিতির কিছুটা কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়। তার পরেও সব পড়ুয়া পরীক্ষায় বসতে পারেননি। সকলকে পরীক্ষা দিতে দেওয়ার দাবিতে অনশনেও বসেন ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু পিছু হটেননি কর্তৃপক্ষ। সুমাল্য-অমরদীপদের নাম পরীক্ষায় বসতে না-পারা পড়ুয়াদের তালিকাতেও ছিল বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর।

উপস্থিতি কম থাকায় ভোটার তালিকা থেকেও সুমাল্য, অমরদীপ-সহ প্রায় ১৮০ জনের নাম বাদ গিয়েছে। এ বছর পরীক্ষায় বসার জন্য ন্যূনতম উপস্থিতি কম করা হয়েছিল বলে নির্বাচনে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রেও হাজিরার হার কমানো হয়েছে। রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে নির্বাচনে যুক্ত হতে গেলে অন্তত ৭৫ শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক। তবে এ বার তা কমিয়ে ৬০ শতাংশ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও যাঁদের নাম ভোটার তালিকায় ওঠেনি, তাঁদের নির্বাচনে যুক্ত করা হবে না বলে কর্তৃপক্ষ জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন