ভোট বাতিলের দাবি বিরোধীদের, ফিরহাদ বললেন ওরাই দায়ী

ভোট ঘিরে যেখানে যা কিছু গোলমাল, তার দায় সিপিএম, বিজেপি এবং কোথাও কোথাও কংগ্রেসের উপরে চাপালেন ফিরহাদ হাকিম। জানালেন, তৃণমূল কোনও ভাবেই গোলমালের সঙ্গে যুক্ত নয়। সে সংবাদমাধ্যমের ছবি যা-ই বলুক না কেন!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৫ ১৯:০৬
Share:

ভোট ঘিরে যেখানে যা কিছু গোলমাল, তার দায় সিপিএম, বিজেপি এবং কোথাও কোথাও কংগ্রেসের উপরে চাপাল শাসক দল তথা সরকার।পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকায় সিপিএম এবং বিজেপি’র লোকজনই তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণ করেছে। কোথাও কোথাও হামলা করেছে কংগ্রেসও। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি যাই বলুক, ফিরহাদ হাকিম অবস্থানে অনড়। সাংবাদিক নিগ্রহের প্রতিটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হবে বলে পুর মন্ত্রী এ দিন জানান।

Advertisement

ফিরহাদের সুরেই আর এক মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও ভোটের দিনে গোলমালের দায় চাপিয়েছেন সিপিএমের ঘাড়েই! পার্থবাবু ঘোষণা করেছেন, সিপিএমের ‘সন্ত্রাসে’র প্রতিবাদে আগামী ৬ অক্টোবর কলকাতায় মহামিছিল করবেন তাঁরা। তাঁর দাবি, হারের ভয়ে বিরোধীরা ‘অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি’র আশ্রয় নিয়েছে। ফিরহাদের অভিযোগ, রমলা চক্রবর্তীদের নেতৃত্বে সল্টলেকে সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা হয়েছিল। রমলার বাড়ির গ্যারেজে ‘বহিরাগত’দের রাখা হয়েছিল বলেও তিনি দাবি করেন!

ভোট ঘিরে প্রহসনের প্রতিবাদে বিরোধীরা অবশ্য পাল্টা সরব। বামফ্রন্ট, বিজেপি এবং কংগ্রেস তিন পক্ষেরই দাবি, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ বাদে বাকি আড়াইখানা পুর-নিগমের গোটা নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে ভোট করাতে হবে। এই দাবিতে এ দিন দুপুরের পর থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়ের দফতরের বাইরে রাহুল সিংহের নেতৃত্বে বিজেপি এবং রবীন দেবদের নেতৃত্বে বামেরা ধর্না-অবস্থানে বসেছে। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যও দরবার করেছেন কমিশনে। সন্ধ্যায় আবার সেখানে মিছিল নিয়ে যায় কংগ্রেস।

Advertisement

তৃণমূলের মিছিলের আগের দিনই কলকাতায় পথে নামছে বামেরা। লালবাজার অভিযানে পুলিশের লাঠিচালনা এবং তার পরে লাঠি চালানোর কথা অস্বীকার করার প্রতিবাদে সোমবার মিছিল ডেকে রেখেছিল তারা। তার সঙ্গেই যুক্ত হচ্ছে ভোট লুঠের প্রতিবাদ। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, ‘‘কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মানুষ মোটের উপরে ভোট দিতে পেরেছেন। কিন্তু বিধাননগর, আসানসোল ও বালির ওয়ার্ডের পর ওয়ার্ডে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। আমরা এর পুরোটাই পুনর্নির্বাচন চাই।’’ বিমানবাবুর আরও মন্তব্য, ‘‘অল্প কোনও একটা এলাকার ভোটে এত জন সাংবাদিক আক্রান্ত, এমন ঘটনা অতীতে কখনও হয়েছে বলে আমার অন্তত জানা নেই!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন