পর পর চার দিনের পরে এক দিন বিশ্রাম। তার পরে ফের মিছিল। ফের যানজটের জেরে দুর্ভোগ সাধারণ মানুষের। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার শহরে তিনটি মিছিল বেরোয়। পেশোয়ারের ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে একটি মিছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে যায় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পর্যন্ত। ওই মিছিলের জন্য দুপুর দেড়টা নাগাদ বন্ধ করে দেওয়া হয় কলেজ স্ট্রিট। ফলে বিধান সরণিতে থমকে যায় যান চলাচল। উত্তরমুখী গাড়িগুলিকে লেনিন সরণি দিয়ে মৌলালি এবং আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। কলেজ স্ট্রিট বন্ধ থাকায় গাড়ির চাপ বাড়ে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়েও। সেখানেও সাময়িক যানজট হয়।
অন্য দিকে, চিটফান্ড সাফারার্স ইউনিটি ফোরামের তরফে একটি মিছিল বিকেল তিনটে নাগাদ কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার এবং এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে পৌঁছয়। এর জেরে এস এন ব্যানার্জি রোড, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, লেনিন সরণি ও চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে যানজট হয়। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গ হকার্স ফেডারেশন তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আর আর অ্যাভিনিউয়ে একটি জমায়েত করে।
এ দিনই হেদুয়া থেকে মানিকতলা মোড় পর্যন্ত কংগ্রেসের একটি মিছিল বেরোয়। অংশগ্রহণকারীদের দাবি ছিল, সারদা-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে হবে। লালবাজার সূত্রের খবর, ওই মিছিলে খুব বেশি লোক হয়নি। সেই কারণে যানজট হলেও তা বেশিক্ষণ থাকেনি। দুপুরে মৌলালি মোড়ে মানব বন্ধনে সামিল হন মহিলা কংগ্রেস কমিটির প্রায় জনা পঞ্চাশেক সমর্থক। তাঁদের অভিযোগ ছিল, হাওড়ায় ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহকে হেনস্থা করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আগামী শনিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি জমায়েত রয়েছে শহিদ মিনার ময়দানে। ফলে চলতি সপ্তাহেও ভোগান্তির শেষ হবে কি না, তা নিয়ে খুব একটা আশার আলো দেখাতে পারেনি কলকাতা পুলিশ।