মমতার ‘গুণে’ শহর শোভন

পুর-পরিষেবায় নজরদারির যে কাজ করার কথা পুরসভার, তা তাঁকেই করতে হয়। পুরভোটের মুখে দাঁড়িয়ে এ কথা কার্যত কবুল করলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। শুক্রবার চেতলায় পুরসভার বুস্টার পাম্পিং স্টেশন উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তায় ঘোরার সময় সবই আমার নজরে পড়ে। কোথাও তিন চারটে আলো খারাপ, বা রাস্তায় নোংরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ববি, মেয়র, পুর-কমিশনার বা পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে ব্যবস্থা নিতে বলি।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:০০
Share:

পুর-পরিষেবায় নজরদারির যে কাজ করার কথা পুরসভার, তা তাঁকেই করতে হয়। পুরভোটের মুখে দাঁড়িয়ে এ কথা কার্যত কবুল করলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। শুক্রবার চেতলায় পুরসভার বুস্টার পাম্পিং স্টেশন উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তায় ঘোরার সময় সবই আমার নজরে পড়ে। কোথাও তিন চারটে আলো খারাপ, বা রাস্তায় নোংরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ববি, মেয়র, পুর-কমিশনার বা পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে ব্যবস্থা নিতে বলি।”

Advertisement

যাতায়াতের পথে পুর-পরিষেবার খামতি নজরে এলে বরাবর নিজেই সংশ্লিষ্ট দফতর, কর্তাব্যক্তি বা মন্ত্রীকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উদ্যোগেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বিবর্ণ, জীর্ণ রেলিং সারিয়ে নীল-সাদা রঙের প্রলেপ পড়েছে। গাছ বসিয়ে হয়েছে সৌন্দর্যায়নও। রাস্তায় জঞ্জালের স্তূপ দেখলেও তিনি সব সময়ে সতর্ক করেন পুরসভাকে।

পিজি হাসপাতালের সামনের ফুটপাথ সাফাই এবং হকার প্যাভিলিয়ন গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও মূল ভূমিকা ছিল মমতার। কিছু দিনের ব্যবধানে হকারেরা ফের সেখানে ফিরে এলে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম বা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বকাঝকা করে ফের হকার সরানোর উদ্যোগও ছিল তাঁরই।

Advertisement

শহরের কোথাও ত্রিফলা আলো খারাপ হয়ে পড়ে থাকার বিষয়টিও মুখ্যমন্ত্রীই বিভিন্ন সময়ে পুরসভার নজরে এনেছেন। এ সবের সূত্রেই হয়তো শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, “আমি অবশ্য সব সময়ে মনিটরিং করি।”

এ দিন চেতলার ওই অনুষ্ঠানে অবশ্য পুরমন্ত্রী বা পুরসভাকে দরাজ সার্টিফিকেট দিতেও কসুর করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কলকাতার উন্নয়নে ববি, শোভনরা যা কাজ করেছে তাতে শহরবাসীর গর্বিত হওয়া উচিত। ওঁরা পুরসভার স্বপ্ন পূরণ করেছে।”

পুরমন্ত্রী বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের দাবি আজ পূর্ণ হল।” মেয়র জানান, গার্ডেনরিচ জল শোধনাগারে নতুন করে যে দেড় কোটি গ্যালন জল মিলবে, তা চাহিদা মেটাবে ১১৫, ১১৬, ১১৭ এবং ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। তবে এ দিন গার্ডেনরিচ প্রকল্পের উদ্বোধন হলেও জল মিলবে মাসখানেক পরে। এখনও ওই প্রকল্পের কিছু কাজ বাকি রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন