গত বছর বৃষ্টির জল জমে এ ভাবেই নষ্ট হয়েছে চারা। —নিজস্ব চিত্র।
টনক নড়ল কলকাতা পুরসভার। এ বার থেকে সমীক্ষা করেই কোনও বনসৃজনের কাজ করার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা।
পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, গত বছরে কলকাতা পুরসভার সংযোজিত এলাকা জোকায় বনসৃজন কাজ হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির জল জমে অধিকাংশ চারাই নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে লক্ষাধিক টাকার এই প্রকল্প কার্যত ভেস্তে গিয়েছিল। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “জোকা এলাকা সংযোজিত হওয়ার পরেই পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এলাকার সৌন্দর্যায়নের জন্য বনসৃজন করা হবে। সে মতো কাজও হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির জল জমে অধিকাংশ গাছের চারা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এ বার থেকে সমীক্ষা করে বনসৃজনের কাজ হবে।”
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, জোকা এলাকার বেশ কিছু অংশ ফাঁকা থাকায় পুরসভা সেখানে বনসৃজনের পরিকল্পনা করেছিল। প্রায় লক্ষাধিক টাকার ছাতিম, জারুল, নিম-সহ নানা গাছের চারা রোপণ করা হয়েছিল। কিন্তু গাছ লাগানোর কিছুদিনের মধ্যেই সেখানে বৃষ্টির জল জমে যায়। জল বেরোতে প্রায় দিন ১৫ লেগে যায়। ফলে অধিকাংশ গাছের চারাই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ রঞ্জিত সামন্ত বলেন, “গাছের চারা জলের মধ্যে সাত দিন ডুবে থাকলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।” শুধু জোকাই নয়, ঠাকুরপুকুর এলাকাতেও খালধারে বেশ কিছু গাছের চারা লাগানো হয়েছিল। সেগুলিও বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায় বলে পুরসভা সূত্রে খবর। তবে এখানে গাছের সংখ্যা কম ছিল।
প্রশ্ন ওঠে, চারা বসানোর আগে পুরসভা সমীক্ষা করল না কেন?
পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, ভাবা হয়েছিল কাছেই খাল থাকায় দ্রুত জল বেরিয়ে যাবে। কিন্তু খালে পলি জমে যাওয়ায় জল বেরোতেও দেরি হয়েছে। তা ছাড়া অঞ্চলটি বেশি দিন পুরসভার মধ্যে আসেনি। ফলে কোথায় কী ভাবে জল দাঁড়ায় এ সম্পর্কে ধারণা কম ছিল। এ বছর তাই সমীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে। খালধার এবং নিচু জমি এড়িয়ে যাওয়া হবে বলেও ঠিক হয়েছে। তা ছাড়া যেখানে এর মধ্যেই গাছ লাগানো হয়েছে সেখানে যাতে বেশি দিন জল না দাঁড়ায় সে দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।