হোমগার্ডকে হেনস্থা, অভিযুক্ত থানার ওসি

মহিলা সহকর্মীকে যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত হলেন খোদ থানার ওসি! পুলিশ জানায়, ময়দান থানার এক মহিলা হোমগার্ড ওই থানার ওসি রাহুল সরকারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। এর ভিত্তিতে লালবাজার পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে নিযুক্ত করলেও ওই ওসির বিরুদ্ধে শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনও ফৌজদারী মামলা শুরু করা হয়নি। শুক্রবার রাতে তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। ওই অভিযোগ প্রশাসনের শীর্ষ স্তরেও পৌঁছেছে বলে দাবি পুলিশের। অভিযুক্ত ওসি-র অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৪ ০০:৪৬
Share:

মহিলা সহকর্মীকে যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত হলেন খোদ থানার ওসি! পুলিশ জানায়, ময়দান থানার এক মহিলা হোমগার্ড ওই থানার ওসি রাহুল সরকারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। এর ভিত্তিতে লালবাজার পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে নিযুক্ত করলেও ওই ওসির বিরুদ্ধে শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনও ফৌজদারী মামলা শুরু করা হয়নি। শুক্রবার রাতে তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। ওই অভিযোগ প্রশাসনের শীর্ষ স্তরেও পৌঁছেছে বলে দাবি পুলিশের। অভিযুক্ত ওসি-র অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

পুলিশকর্তাদের কাছে পাঠানো অভিযোগপত্রে ওই হোমগার্ড জানান, ময়দান থানার ওসি দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে অশ্লীল মন্তব্য করতেন। ক’দিন আগে তিনি ওই হোমগার্ডকে কনস্টেবল পদে চাকরির প্রলোভন দেখান। তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণও করতেন। প্রতিবাদ করলে চাকরি থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিতেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ময়দান থানার ওসি রাহুল সরকার। তাঁর বক্তব্য, “থানার একাংশ আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে। উচ্চকর্তাদের এ বিষয়ে সব বলেছি।”

পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে এই অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ডিসি (দক্ষিণ) মুরলীধর শর্মা বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা বলা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জেনেছে, ঘটনাটি এক বছর আগের। এত দিন মহিলা কেন অভিযোগ করেননি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন লালবাজারের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, থানার দু’টি গোষ্ঠীর গোলমালও কারণ হতে পারে। এ বিষয়টি পুলিশকর্তাদেরও কানে পৌঁছেছে। যদিও অভিযোগকারিণী হোমগার্ডের বক্তব্য, ঘটনার সময়ে তিনি সদ্য চাকরিতে ঢুকেছিলেন। তাই কিছুটা ভয় পেয়েছিলেন।

তবে এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকে কিছুটা বিব্রত লালবাজারের শীর্ষকর্তাদের একটা বড় অংশ। এ ব্যাপারে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না তাঁরা। ঘটনাচক্রে শুক্রবার বিকেলে একটি বণিকসভার অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল সংবাদমাধ্যমের। বণিকসভা সূত্রে খবর, এ দিন সকালে লালবাজার থেকে তাঁদের ফোন করে জানানো হয়, কোনও জরুরি কাজ থাকায় সিপি আসতে পারবেন না। সংবাদমাধ্যমের অস্বস্তিকর প্রশ্ন এড়াতেই কমিশনার অনুপস্থিত থাকলেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে লালবাজারের অন্দরেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন