ফাইল চিত্র।
পূর্ব ভারতের উপকূলে জমতে থাকা মেঘ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে পশ্চিম। তার জেরে মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের একাংশে ভারী বৃষ্টিতে নাজেহাল। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ড আষাঢ় শেষেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি পাচ্ছে না। তবে অবশেষে বর্ষার মেঘ হাজির হয়েছে দিল্লির আকাশে। শুক্রবার একটানা প্রায় দু’ঘণ্টার বৃষ্টি স্বস্তি দিয়েছে রাজধানীর বাসিন্দাদের।
কিন্তু বাংলায় চাষিরা বীজতলা তৈরি করে বসে আছেন। মাঠে জল না-থাকায় জমিতে ধানচারা পুঁততে পারছেন না। কোথাও বীজতলা তৈরির ঝুঁকিই নেওয়া যাচ্ছে না। আকাশে অল্পসল্প মেঘ জমছে, কিন্তু তা বৃষ্টি দিচ্ছে না। তবে কৃষিকর্তা এবং কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেন, এখনই চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। ভারী বৃষ্টির সময় শেষ হয়ে যায়নি।
হাওয়া অফিস বলছে, বঙ্গোপসাগরের শক্তিশালী কোনও নিম্নচাপ পশ্চিম উপকূল থেকে মেঘ টেনে আনতে পারে। বৃষ্টি পেতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। বঙ্গোপসাগরে এক-আধটা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি যে হচ্ছে না, তা নয়। তবে সেই ঘূর্ণাবর্ত যে-জলীয় বাষ্প পরিমণ্ডলে ঢোকাচ্ছে, তা স্থলভূমিতে বেশি দূর যেতে পারছে না। মেঘপুঞ্জ পশ্চিম ভারতে টেনে নিয়ে যাচ্ছে আরব সাগরে তৈরি হওয়া শক্তিশালী নিম্নচাপ। দুর্বল নিম্নচাপের জেরে যেটুকু মেঘ ঢুকছে, তাতে কিঞ্চিৎ বৃষ্টি পাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা। জুলাইয়ের শেষে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে স্বাভাবিক বৃষ্টি শুরু হবে বলে কৃষিবিজ্ঞানীদের আশা।
বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞানী কৌশিক ব্রহ্মচারী বলেন, ‘‘বীজতলা থেকে ২১ দিনের চারা জমিতে লাগালে আমন ধানের ফলন সব থেকে ভাল হয়। এখন একই বীজতলায় নির্দিষ্ট সময় অন্তর বীজ ফেলা দরকার। যাতে ভাল বৃষ্টিতে জমিতে জল জমলেই ২১ দিন বয়সের চারা লাগাতে পারেন চাষিরা।’’
হাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞানী জানান, বঙ্গোপসাগরে আগামী সপ্তাহে একটি শক্তিশালী নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা জোরদার হচ্ছে। সে মেঘপুঞ্জকে টেনে আনতে পারে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। গোটা দক্ষিণবঙ্গে নামতে পারে জোরদার বৃষ্টি।