কালীঘাটে জমি ‘দখল’, তদন্তের নির্দেশ কোর্টের

অভিযুক্তদের আইনজীবী দেবাশিস রায় আদালতে জানান, অভিযোগ ভিত্তিহীন। মারধরের কথাও অস্বীকার করেন তিনি। বিচারপতি দেবাশিসবাবুকে জানান, আদালত তাঁর বক্তব্যও নথিভুক্ত করবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৩
Share:

তাঁদের জমি ও গ্যারাজের জায়গা গায়ের জোরে দখল নেওয়া হচ্ছে। কালীঘাটের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সহযোগী সতেন্দ্রপ্রসাদ সিংহের বিরুদ্ধে থানায় এমন অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্থানীয় এক মহিলা। কিন্তু তার পরেও পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয়নি, সেই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন রঞ্জনা হাজরা নামে ওই মহিলা। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধে পুলিশকে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।

Advertisement

অভিযুক্তদের আইনজীবী দেবাশিস রায় আদালতে জানান, অভিযোগ ভিত্তিহীন। মারধরের কথাও অস্বীকার করেন তিনি। বিচারপতি দেবাশিসবাবুকে জানান, আদালত তাঁর বক্তব্যও নথিভুক্ত করবে। সরকারি কৌঁসুলি অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিচারপতির নির্দেশ, পুজোর ছুটি শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পরে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। বিচারপতির আরও নির্দেশ, রঞ্জনা ও তাঁর ভাই দীপকের যেন কোনও অসুবিধা না হয় থানার ওসি-কে তা-ও নিশ্চিত করতে হবে।

ঘটনা গত ২৯ জুলাইয়ের। এ দিন আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, রঞ্জনাদেবীরা ওই এলাকার পুরনো বাসিন্দা। তাঁদের উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন অভিযুক্ত অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দাদা ও প্রভাবশালী। ২ অগস্ট তাঁর মক্কেল রঞ্জনাদেবী ও তাঁর ভাই দীপককে বেধড়ক মারধর করেন অজিত ও তাঁর সঙ্গী সত্যেন্দ্র। তাতে গুরুতর জখম হন দু’জনে। সরকারি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা হয়। মামলার আবেদনের সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি দাখিল করা হয়েছে।

Advertisement

সরকারি কৌঁসুলি অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, ১৯৯৯ সাল থেকে জমি-জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের গোলমাল। ২ অগস্টের ঘটনায় দু’পক্ষই একে-অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। তা শুনে বিচারপতি বাগচী মন্তব্য করেন, ‘‘সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট থাকলে পুলিশের উচিত এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করা। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগেরও তদন্ত করা উচিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন