ধস বিধ্বস্ত রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।
দার্জিলিংয়ের ধসের প্রভাবে ক্রমশ জটিল হচ্ছে সিকিমের পরিস্থিতি। সঙ্কট দেখা দিয়েছে পেট্রোল এবং জ্বালানি গ্যাসের। যার ফলে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে সিকিম সরকার।
ধসের কারণে দার্জিলিং থেকে সিকিম যাওয়ার রাস্তা কার্যত বন্ধ। ফলে বড় কোনও গাড়ি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সিকিমে সরবরাহ করতে পারছে না। সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে পেট্রোল এবং রান্নার গ্যাস নিয়ে। অন্য দিকে, সিকিমে দিনে এক বারই হেলিকপ্টার পরিষেবা মেলে। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় তা-ও সম্ভব হচ্ছে না। এ দিনও সকাল থেকে ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছে মিরিক, কালিম্পঙে। শিলিগুড়ি-কালিম্পঙ এবং শিলিগুড়ি-দার্জিলিং প্রধান রাস্তা বন্ধ রয়েছে। রোহিনী-ঘুম হয়ে দার্জিলিং, কালিম্পঙ এবং সিকিম যেতে হচ্ছে।
এ দিন মিরিকের টিংলিং-য়ে উদ্ধারকার্যের সময় আরও এক জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মাটি খুঁড়ে অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ১০ জন।
দুপুরে ত্রাণ এবং উদ্ধার কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জেলা শাসক এবং এসপিদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা। বৈঠক শেষে তিনি ২টো নাগাদ সুকনা থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন। এ দিনই কলকাতায় ফেরার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। দুর্গতদের জন্য আরও ১০ দিন ত্রাণ শিবির চালু রাখার আর্জি জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী তাতে সায় দেন।