তরুণী বধূকে পাওয়া গিয়েছিল উত্তরপাড়া স্টেশনের ধারে। ট্রেনের ধাক্কা, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু। শ্বশুরবাড়িতে ঝগড়াঝাঁটি হত। পুলিশে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করেছে মেয়েটির পরিবার। এ দেশে এই ধরনের ঘটনা ভূরি-ভূরি।
কিন্তু কাকে বলে প্ররোচনা?
আইনে প্ররোচনার কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। তা নির্ভর করে পরিস্থিতির উপরে। মৃত যদি সুইসাইড নোটে কাউকে দায়ী করে যান, তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা হতে পারে। তা না হলে পুলিশ দেখবে, কারও কথা বা আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষটি এই রাস্তা বেছে নিয়েছেন কি না।
রাতে বরের সঙ্গে ঝগড়া, ভোরে দেখা গেল বর গলায় দড়ি দিয়ে ফ্যান থেকে ঝুলছে, আত্মহত্যায় প্ররোচনা বলে ধরা হবে?
হতে পারে, না-ও হতে পারে। পুলিশ দেখবে, ঝগড়া কি প্রায়ই হত না কি সে দিনই হয়েছিল? ঝগড়া কি এমন পর্যায়ে ছিল যাতে কেউ মানসিক স্থিতি হারিয়ে ফেলতে পারে? বা এর পিছনে অন্য কারণ থাকতে পারে, যা তৎক্ষণাৎ বোঝা যাচ্ছে না? মোদ্দা কথা, বিচ্ছিন্ন ঝগড়াঝাঁটিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা বলে ধরা হয় না। গার্হস্থ্য ঝামেলায় পড়শিদের সাক্ষ্য গুরুত্ব পায়।
ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য, যেমন আমানতকারীরা টাকা চেয়ে চাপ দেওয়ার পরে অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট আত্মঘাতী হলে কি এই মামলা হতে পারে?
সাধারণত না। যদি না দাবি আদায়ে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেন।