রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস, শপথ বয়কটের মুখে বিরোধীরা

ভোটের ফলপ্রকাশের পর রাজ্য জুড়ে শাসক দলের যে তাণ্ডব শুরু হয়েছে তার প্রতিবাদে নতুন মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধী জোট। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে বেরিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সোমবার এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেই সঙ্গেই তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনে পরাস্ত হলেও বিধানসভার ভিতরে-বাইরে জোট বজায় রেখেই তাঁরা এখন চলবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৬ ১৯:৫১
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

ভোটের ফলপ্রকাশের পর রাজ্য জুড়ে শাসক দলের যে তাণ্ডব শুরু হয়েছে তার প্রতিবাদে নতুন মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধী জোট। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে বেরিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সোমবার এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেই সঙ্গেই তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনে পরাস্ত হলেও বিধানসভার ভিতরে-বাইরে জোট বজায় রেখেই তাঁরা এখন চলবেন।

Advertisement

রাজভবন থেকে বেরিয়ে সূর্যবাবু বলেন, “সকাল দেখেই দিনটা কেমন যাবে বোঝা যায়। এই সরকার শপথ নেওয়ার আগেই যে সব ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে তাতে বোঝা যাচ্ছে আগামী পাঁচ বছর কেমন কাটবে! শাসক দলের হিংস্র আক্রমণ এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের উপরে হামলার প্রতিবাদে আমরা বিধানসভার মধ্যে ও রাস্তায় নেমে লড়াই করব।” অধীর বলেন, “রাজ্যে জুড়ে নৈরাজ্য চলছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি থেকে বিরোধীদের অস্তিত্ব মুছে দিতে চাইছে তৃণমূল। একই সঙ্গে পাঁচটি রাজ্যে ভোট হয়েছে, সব জায়গাতেই কেউ জিতেছে, কেউ হেরেছে। কিন্তু, অন্য কোনও রাজ্যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।” এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন? অধীর বলেন, “না-ও যেতে পারি। এই অবস্থায় যাওয়ার কোনও মানে হয় না।” আর সূর্যবাবুর স্পষ্ট বক্তব্য, “মানুষ আক্রান্ত, ঘরবাড়ি জ্বলছে, মৃত্যু হচ্ছে, কোনও প্রতিকার নেই। এই অবস্থায় উৎসব-অনুষ্ঠানে যাওয়ার মানসিকতা আমাদের নেই। এখনও অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র আসেনি। আমন্ত্রণপত্র পেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।”

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যে যা-ই মত দিন অধীর এ দিন সাফ জানিয়েছেন, জোট ছিল, আছে, থাকবে। যে যে কারণে জোট গড়া হয়েছিল সেই সব কারণ এখনও প্রাসঙ্গিক বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির যুক্তি। আর এই বক্তব্যের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন সূর্যবাবুও। রাজভবনে এ দিন অধীর-সূর্যের সঙ্গে দরবার করতে একসঙ্গে এসেছিলেন কংগ্রেসের মানস ভুঁইয়া, অসিত মিত্র, অরিন্দম ভট্টাচার্য, সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, রবীন দেব, আরএসপি-র বিশ্বনাথ চৌধুরী, মনোজ ভট্টাচার্য ও ফরোয়ার্ড ব্লকের প্রবীর দেব প্রমুখ। বামফ্রন্টের মধ্যে জোট বজায় রাখা নিয়ে যে টানাপড়েন চলছে তার কোনও প্রতিফলন এ দিন অন্তত দেখা যায়নি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন