কলকাতার পুরভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে বাকি ৯১টি পুরসভার ভোটে শাসক দলের মোকাবিলা করার কথা বারবার বলছেন বাম নেতৃত্ব। কলকাতার কায়দাতেই জেলার পুরসভাতেও ভোটের নামে প্রহসন হলে এ বার বাংলা বন্ধের পথেও যেতে পারে বামফ্রন্ট। পুরসভাগুলির ভোটের প্রচার শেষ হলে আজ, বৃহস্পতিবারই বামফ্রন্টের বৈঠকে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হবে। বামফ্রন্ট বন্ধের পথে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চার বছরের জমানায় তা হবে প্রথম বার।
কলকাতা পুরসভার ভোটের পরে বামফ্রন্টের বৈঠকে বন্ধ ডাকার ব্যাপারে আলোচনা হলেও ঠিক হয় বাকি ৯১টি পুরসভায় নির্বাচনের পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই বৈঠকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু অবশ্য ছিলেন না। কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বুধবার বিমানবাবুকে প্রশ্ন করা হয়, বাকি ৯১টি পুরসভায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে যদি অবাধ ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়, তা হলে কি বামফ্রন্ট বাংলা বন্ধ ডাকবে? বিমানবাবু বলেন, ‘‘কাল (বৃহস্পতিবার) বামফ্রন্টের বৈঠকে আলোচনা হলে বলব।’’
ভোটের পরের কর্মসূচির প্রস্তুতির পাশাপাশিই পুরভোটের দিন যাতে শাসক দলের মোকাবিলা করতে কর্মী-সমর্থেকরা ময়দানে থাকেন, তার জন্যও প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন নেতৃত্ব। বিশাখাপত্তনমে পার্টি কংগ্রেস থেকে ফিরে কোথাও হামলার খবর এলেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন সিপিএম নেতৃত্ব। দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকার পাতিপুকুরে নতুনপল্লির মাঠে এ দিনই প্রচার-সভায় গিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যবাবু বলেছেন, ‘‘ওরা যে মাঠে যে খেলা খেলবে, আমাদেরও সেই খেলাই খেলতে হবে!’’