মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের জনসভায়। —নিজস্ব চিত্র।
নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগে মমতা বলেন, “বিজেপির আইটি সেলের তৈরি করা তালিকা দিয়ে ভোট করাবেন? যা ইচ্ছে করুন, কিছু করতে পারবেন না।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর পরামর্শ, বিএসএফের ধারেকাছে যাবেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এক চোখে দুর্যোধন, অপর চোখে দুঃশাসন বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
এসআইআর নিয়ে বিজেপি সব রকম চেষ্টা করলেও ফল মিলবে না বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিহার পারেনি, বাংলা পারবে!”
রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেবেন না! কৃষ্ণনগরের সভা থেকে ফের জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গীতাপাঠ আমরা সবাই করি। তার জন্য পাবলিক মিটিং করার কী আছে?”
ব্রিগেডে প্যাটিস বিক্রেতাকে মারধরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মারধরের ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সবকটাকে গ্রেফতার করেছি! এটা বাংলা, উত্তরপ্রদেশ নয়।”
ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর নিয়ে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। বিদ্রুপাত্মক ভঙ্গিতে তিনি বলেন, ব্যাঙ্কের কাজে, প্যান কার্ডে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক হলেও ভোটাধিকার এবং নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে আধার গ্রাহ্য করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপির তাঁবেদারির জন্য আধার কার্ড চলবে? ইয়েস স্যর।”
১০০ দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের ভিক্ষা চাই না। আদালতের নির্দেশ পেয়ে ছ’মাস ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ একটা নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্র। রাস্তা তৈরির টাকাও বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভাল কাজ করলেও পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চনা।”
১০০ দিনের কাজ বন্ধ করা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি জানালেন, কেন্দ্রের টাকা রাজ্যের লাগবে না। রাজ্য নিজের অর্থে ১০০ দিনের কাজ চালিয়ে নিয়ে যাবে।
নদিয়ায় উপভোক্তাদের হাতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাস্তাশ্রী এবং পথশ্রী প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের কাজের সূচনা করেন তিনি। এই পর্যায়ে রাজ্যের ২৩টি জেলায় ২০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা তৈরি হবে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ পাবেন বহু মানুষ।
নদিয়ার কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে দুপুর ১২টায় দলীয় জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে জেলার উন্নয়নের বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের বিশেষ নির্দেশিকা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়ার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে হেলিকপ্টারে কৃষ্ণনগর যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।