ভোট না-হওয়া ১১টি পুরসভাতে প্রশাসকেরা দায়িত্ব নিয়েছেন। সেই তালিকাতে ছিল নদিয়ার চাকদহ পুরসভাও। দায়িত্বও নিয়েছিলেন মহকুমাশাসক। কিন্তু ৩০ অক্টোবর রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেয়, চাকদহ পুরসভায় দুই সদস্যের ‘বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস’ গঠন করা হবে। তারাই নাগরিক পরিষেবা-সহ দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখাশোনা করবে। বোর্ডের চেয়ারপার্সন হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে কল্যাণীর মহকুমাশাসক ইউনুস রিসিন ইসমাইলকে। আর সদস্য হলেন চাকদহের বিধায়ক রত্না ঘোষ।
প্রশ্ন হল, চাকদহ পুরসভার জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা কেন? পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের জবাব, ‘‘এই পুরসভাতেও মহকুমাশাসকই প্রশাসক। কিন্তু তিনি নানা কাজকর্মে ব্যস্ত থাকেন। তাই নাগরিক পরিষেবা নিয়ে যেখানে সাংসদ বা বিধায়ক আগ্রহ দেখান, সেখানে আমরা তাঁদের সদস্য করে বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস গঠন করি।’’ অন্য পুরসভাগুলিতেও যদি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নাগরিক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকতে আগ্রহ দেখান, তা হলে সেখানেও বোর্ড গড়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ফিরহাদ। তবে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের একাংশের বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রেই সাংসদ বা বিধায়ক মহকুমাশাসকের অধীনে কাজ করতে চান না। ফলে তাঁরা ‘দূরে’ থাকেন। গুসকরা পুরসভার মেয়াদও শেষ। সেখানেও আগামী রবিবার প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব নেবেন পূর্ব বর্ধমানের (হেড কোয়াটার্স) ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অ্যান্ড ডেপুটি কালেক্টর। ডিসেম্বরে মেয়াদ শেষ হবে হাওড়া, কৃষ্ণনগর, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বহরমপুর পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের। সেখানেও প্রশাসকই আপাতত দায়িত্ব সামলাবেন বলেই সূত্রের খবর।