চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ। বারাসতের একটি স্কুলে। ছবি: সুদীপ ঘোষ।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগকে ঘিরে বিক্ষোভ-বিতর্ক, নতুন করে মামলা-মকদ্দমার চক্কর, বিজ্ঞপ্তি-বিভ্রাট তো চলছেই। এ বার কিছু আবেদনকারীর ক্ষোভ গড়াল স্কুলে তালা ঝোলানো এবং পথ-অবরোধ পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার বারাসতে ঘটনার সূত্রপাত দুপুরে। নিয়োগপত্রে একটি বিভ্রান্তিকে ঘিরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক-পদের জন্য এ দিন সফল টেট-প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছিল। বারাসতের একটি স্কুলে নিয়োগপত্র বিলির সময় দেখা যায়, ১২০ জন প্রার্থী পার্শ্বশিক্ষকের পদের জন্য কোনও নথিই জমা দেননি। সেই নথি পেশের নির্দেশ দেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। কিন্তু ওই কর্মপ্রার্থীরা জানান, তাঁদের কেউই পার্শ্বশিক্ষকের পদে আবেদন করেননি। আবেদনপত্রে ‘পার্শ্বশিক্ষক কিংবা অন্যান্য’ বলে একটি কলম ছিল। তাঁরা ‘অন্যান্য’ শ্রেণির প্রার্থী হিসেবেই সেই কলম পূরণ করেছেন।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ অনড় থাকায় স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ওই আবেদনকারীরা। ঘণ্টা দুয়েক গোলমাল চলার পরে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সম্রাট মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, সমস্যার কথা
জানিয়ে ওই পরীক্ষার্থীরা আবেদন করলে তা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পর্ষদই বিষয়টি বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন:
গরাদ সরিয়ে মায়ের পাশে বসে তাঁকে জড়িয়ে ধরেই কথা বলতে পারবে শিশুরা
তাতেও প্রার্থীদের ক্ষোভ মেটেনি। এ দিন নিয়োগপত্র দিতে হবে বলে দাবি তুলে সন্ধ্যায় বারাসতের কলোনি মোড়ে পথ অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। বন্ধ হয়ে যায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। আটকে পড়ে কলকাতা ও কৃষ্ণনগরের মধ্যে চলাচলকারী যানবাহন। পুলিশ যায়। আলোচনাও হয়। কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত অবরোধ ওঠেনি। তাঁদের সমস্যারও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।
এ দিনই বিভিন্ন বাম গণ-সংগঠনের ডাকে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয় নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সেই সমাবেশে বলেন, “পাঁচ বছরে এক বারই টেট নেওয়া হয়েছে। তাতেও সফল প্রার্থীদের নামের তালিকা টাঙাতে পারল না রাজ্য সরকার। এসএমএস করে জানানো হচ্ছে। টাকা ছাড়া চাকরি হচ্ছে না।”