বিজেপির বিরুদ্ধে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার অভিযোগ তুলে আগেই পথে নেমেছিল তৃণমূল। এ বার পাল্টা পথে নামল এবিভিপি। সোমবার বিকেলে নবদ্বীপে ধিক্কার মিছিল এবং প্রতিবাদ সভা করল তারা।
বুথফেরত সমীক্ষার আগেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অনুগামী এই ছাত্র সংগঠনের নদিয়া জেলা শাখার তরফে ‘নবদ্বীপ চলো’ ডাক দেওয়া হয়েছিল। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ নবদ্বীপ পাঁচমাথা মোড় থেকে ধিক্কার মিছিল শহরের কিছু অংশ ঘুরে রাধাবাজার মোড়ে আসে। পথসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন এবিভিপি-র রাজ্য সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকার। বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল বিজেপির দিকে ঝুঁকে থাকায় ভিড় এবং উৎসাহ দুই-ই আগের চেয়ে চোখে পড়ার মতো বেশি ছিল।
গত মঙ্গলবার কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের রোড শো চলাকালীন বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে মূর্তি ভাঙা হয়েছিল। তার প্রায় এক সপ্তাহ পরে এবিভিপি নতুন করে পথে নামল কেন? সংগঠনের নদিয়া জেলা প্রমুখ আশিস বিশ্বাসের দাবি, “আমরা মনীষীদের নিয়ে রাজনীতি করি না। আমরা মূর্তি ভাঙার পিছনের সত্যটা মানুষকে জানাতে চেয়েছি। আমরা চাই, সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ হোক। ভোট নিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব ব্যস্ত ছিলেন। ভোট মিটতেই পথে নেমেছি।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সপ্তর্ষি বলেন, “ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভাঙা নিয়ে ধিক্কার জানানোর দিনক্ষণ হয় নাকি! কিন্তু তৃণমূল নাটকটা কত দূর করতে পারে, সেটাও তো মানুষের দেখা দরকার ছিল।” টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি সৌরিক মুখোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, “সাত দিন পরে ওদের ঘুম ভেঙেছে? গোটা দেশের মানুষ টিভিতে দেখেছে, কারা মূর্তি ভেঙেছে। আর ওরা ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে।”
নবদ্বীপ বেশ কিছুদিন ধরেই টিএমসিপি এবং এবিভিপি-র টক্কর চলছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নবদ্বীপের এক স্কুলশিক্ষক পুলওয়ামায় জঙ্গি হানা নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করেন। তার জেরে এবিভিপি-র ছেলেরা তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষক। ধৃত ১৩ জনকে উনিশ দিন জেল হেফাজতে থাকতে হয়। এখন হাওয়া অনুকূল আঁচ করে এবিভিপি নানা কর্মসূচি নেবে বলেই রাজনৈতিক মহলের অনেকের ধারণা।