—ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার বিকেল তিনটে নাগাদ রায়গঞ্জ শহরের মার্চেন্ট ক্লাব মাঠ থেকে হুডখোলা গাড়িতে চেপে শহরের শিলিগুড়ি মোড় পর্যন্ত রোড শো করার কথা ছিল টলিউডের অভিনেতা দেবের। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সমর্থনে সেই রোড শোয়ে দেবকে দেখতে এদিন বেলা আড়াইটে থেকে শহরের হাসপাতাল রোড থেকে শিলিগুড়ি মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাজ্য সড়কের দু’ধারে বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেব মার্চেন্ট ক্লাব মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে সেই রোড শো বাতিল করে দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়লেন বাসিন্দারা। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনেককেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেল। অন্য দিকে, এ দিন কানাইয়ার সমর্থনে কালিয়াগঞ্জ শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীকলোনি এলাকার একটি মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন দেব। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সির বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে ওই জনসভার আয়োজন করে তৃণমূল। বেলা আড়াইটা নাগাদ দেব ওই জনসভায় পৌঁছতেই তাঁকে দেখার জন্য চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। বাসিন্দারা তাঁকে দেখার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন। অনেকেই মঞ্চে উঠে দেবের সঙ্গে মোবাইলে নিজস্বী তোলার চেষ্টা করেন। কালিয়াগঞ্জ পুরসভার তৃণমূলের পুরপ্রধান কার্তিক পাল, রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ ও পুলিশ কর্মীরা বাসিন্দাদের অনুরোধ করে কোনও মতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। ওই জনসভায় দেব জানান, কানাইয়া জয়ী হলে তিনি ফের কালিয়াগঞ্জে। বাসিন্দাদের কাছে তিনি জানতে চান, ‘‘আপনারা ওঁকে জেতাবেন তো?’’ বাসিন্দারা একযোগে বলেন, ‘জেতাব’।
পৌনে তিনটে নাগাদ দেব মঞ্চ থেকে নেমে ছোট গাড়িতে চেপে রায়গঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। সওয়া তিনটে নাগাদ তিনি রায়গঞ্জের মার্চেন্ট ক্লাব মাঠে কানাইয়ার সমর্থনে আরেকটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন। ওই জনসভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেও দেবকে দেখার জন্য কয়েক হাজার মানুষ ভিড় জমান। কিন্তু সওয়া চারটে নাগাদ তিনি শহরে রোড শো বাতিল করে মালদহের দিকে রওনা হন।
রায়গঞ্জের মিলনপাড়া, পূর্ব নেতাজিপল্লি এলাকার দুই গৃহবধূ চম্পা দাস ও মামনি পাল অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন রোড শো দেখার জন্য। পরে তাঁরা বলেন, দেবের রোড শো যদি না-ই হবে, তা হলে তৃণমূল এত প্রচার করল কেন! জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের দাবি, কপ্টারে সমস্যার জন্য দেরি হয়েছে দেবের। তাই রোড শো করা গেল না।