অমিত শাহের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিরোধিতা এক চরম জায়গায় পৌঁছেছে। —ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত শাহ, দার্জিলিং পাহাড়ে একই দিনে দুই দলের দুই সেনাপতির সভা নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছিল। দিনের শেষে অবশ্য রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, মমতার সভার কথা তাঁরা জানতেন না। তেমন হলে তাঁরা দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্যত্র অমিতের সভার ব্যবস্থা করবেন।
তৃণমূল সূত্রে বলা হয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিং পৌঁছবেন। পরের দিন, ১১ এপ্রিল দার্জিলিঙে এবং ১২ এপ্রিল কার্শিয়াংয়ে তাঁর দুটি সভা করা কথা। বিজেপির সূত্রের দাবি, তাঁদের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহেরও ১১ এপ্রিল দার্জিলিঙে সভা করার কথা। এর মধ্যেই সে জন্য অনুমতি চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিজেপি কালিম্পংয়ের সভা করার জন্যও আবেদন করেছে। সোমবার সন্ধ্যা অবধি অবশ্য তারা অনুমতি পায়নি। প্রশাসন সূত্রে খবর, একই দিনে দার্জিলিং পাহাড়ে দুই ভিভিআইপি-র সভা হলে তা সামাল দেওয়ার মতো পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে সেখানে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ১১ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীর সভা হবে সুপার মার্কেট-মোটরস্ট্যান্ড এলাকায়। এর জন্য অনেক আগে থেকে আবেদন করা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে দাবি। অমিত শাহের জন্য সেখানে বিজেপি বেছেছে গোর্খা স্টেডিয়াম। কিন্তু একই দিনে দু’জনের সভা কি সম্ভব? এই নিয়ে জেলা আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সভার অনুমতি বেশ কিছু দিন আগেই হয়ে গিয়েছে। সেখানে বিজেপি তিন দিন আগে আবেদন করে। একই দিনে বিজেপি ও তৃণমূলের সভা হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে, মাঠ ফেরত দু’দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে গোলমালের আশঙ্কা থেকেই যায়। পাহাড়ে এমন উদাহরণও রয়েছে।
এই অবস্থায় রাজ্য বিজেপি জানিয়েছে, ১১ এপ্রিল দার্জিলিং পাহাড়ে মমতার সভার কথা তাদের জানা ছিল না। তাই অমিত শাহের সভার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। এখনও সভার অনুমতি যে মেলেনি, সে কথা জানিয়ে বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, বিকল্প হিসেবে কালিম্পং বা শিলিগুড়ির কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। এই নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘দার্জিলিং অেক বড় লোকসভা কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রীর সভা যেখানে হবে, সেখানে অমিত শাহের সভা হবে না। বিকল্প জায়গা দেখা হচ্ছে।’’ একই সঙ্গে তাঁরা জানান, ওই দিন পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনে রায়গঞ্জে অমিতের সভা অবশ্য হচ্ছেই। অন্য দিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দেব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে। তাই তাঁর পাহাড় সফরকে ঘিরে উন্মাদনা তৈরি হচ্ছে।’’