—ফাইল চিত্র।
উত্তরবঙ্গে প্রথম দফার ভোটের পরে হেঁয়ালি মেশানো মন্তব্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সে দিন মহম্মদবাজারে প্রচারসভার পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘মাছি দিয়ে কি আর ভোট হয়। পিঁপড়ের সারও আছে।’’ মাছি আর পিঁপড়ের ব্যাখ্যা অবশ্য দিতে চাননি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। তাঁর ওই মন্তব্য নিয়ে জল্পনা ছড়ায়।
জেলায় ‘ভোট করানোর’ কৌশল নিয়ে শুক্রবার বোলপুরে তৃণমূলের জেলা কমিটির রূদ্ধদ্বার বৈঠকের পরে ঘনিষ্ঠ মহলে ওই দুয়ের ‘অর্থ’ শুনিয়েছেন তৃণমূল নেতাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য— ‘মাছি বলতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বোঝাতে চেয়েছেন অনুব্রত। পিঁপড়ের মানে রাজ্য পুলিশ।’
বিরোধীদের কেউ কেউ বলছেন, ‘‘ভোটের আগে গুড়-বাতাসা, পাঁচন, নকুলদানা— এমন নানা শব্দবন্ধ ব্যবহার করেন অনুব্রত। সে সব আদতে রূপকধর্মী। আপাত নিরীহ শব্দ ব্যবহার করে উনি যা বোঝাতে চান, আসলে তার মানে ঠিক উল্টো। তাই মাছি-পিঁপড়ের পিছনেও নিশ্চয়ই কোনও মতলব রয়েছে অনুব্রতের।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জেলা তৃণমূলের দুই নেতা বলেছেন, ‘‘কোন বুথে, কোথায় কত বাহিনী রয়েছে, তার অবস্থান বুঝতেই দু’টি শব্দ বেছে দিয়েছেন জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু অবস্থান জেনে তার পদক্ষেপ কী হবে, তা বলা যাবে না।’’
এ নিয়ে শাসক দলের এক নেতা বলছেন, ‘‘মাছি ভনভন করে সব সময়। বিরক্তিকর।’’ প্রশ্ন ছিল, পিঁপড়েও তো কামড়ায়? ওই তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘এই পিঁপড়ে কালো। শুধু সুড়সুড়ি দেয়। কামড়ায় না।’’ পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘কালো পিঁপড়ে নাকে বা কানে ঢুকলে কিন্তু মাছির থেকেও বেশি বিরক্তিকর।’’