কেষ্টর মুখে রামনাম! খেদ, কেন রাম সরলেন?

দিনভর বারবার ‘রামনাম’ আওড়ালেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর খেদ, কেন রাম সরলেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪৭
Share:

সাক্ষাৎ: অনুব্রত মণ্ডলের অফিসে যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা। ছবি: রণজিৎ নন্দী

রামনাম কেষ্টর মুখে! আশ্চর্য হলেও তেমনটাই হল বীরভূমের ভোটে।

Advertisement

দিনভর বারবার ‘রামনাম’ আওড়ালেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর খেদ, কেন রাম সরলেন।

এই রাম যে-সে নন। তিনি বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোম। তাঁর কথাই সোমবার ঘুরেফিরে এল অনুব্রতের মুখে। আর ঘটনাচক্রে এ দিনই অনুব্রতকাকুর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে গেলেন ভাইপো, সদ্য কমলবনে নাম লেখানো অনুপম হাজরা।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ দিন বোলপুরে ভোট দিতে এসেছিলেন এখানকার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরা। আর সেখান থেকে সটান বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হাজির হয়ে জানালেন, একদা কেষ্টকাকুর সঙ্গে তাঁর ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তাঁর দাবি, এ দিন সৌজন্য সাক্ষাৎকার করতে এসেছিলেন।

ভাইপোকে দেখে কাকু কী করলেন? অনুব্রত তাঁকে বললেন, ‘‘কিছু খেয়েছিস? খেয়ে যাস।’’

কাকুর কথা শুনলেন অনুপম। তৃণমূল কার্যালয়ে বসে গলায় কমল উত্তরীয় জড়িয়ে কব্জি ডুবিয়ে খেলেন তিনি। আর অনুব্রত বললেন, ‘‘ও যদি বোকামি না-করত, তা হলে দিদিকে বলে ওকেই টিকিট দিতাম। দরকার হলে ফিরিয়ে নিতে পারি। রাজ্যসভা তো ফাঁকা আছে।’’ ফেরার প্রশ্নে অনুপমের মন্তব্য, ‘‘সময় বলবে।’’

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অনুব্রতের এই রামনাম বা অনুপমকে নিয়ে মন্তব্যের মধ্যে রাজনীতি রয়েছে। কারণ সিপিএম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোম বেশি ভোট পেলে আদতে তৃণমূলের লাভ হত। সেই জন্যই রামচন্দ্রবাবুর অনুপস্থিতি নিয়ে অনুব্রত এ দিন বললেন, ‘‘কেন ছেড়ে দিলেন? ভাল ভোট পেতেন। এত বারের সাংসদ!’’ পাশাপাশি বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী রামপ্রসাদ দাসের সম্পর্কেও মন্তব্য করলেন কেষ্ট। তিনি বললেন, ‘‘ভোট মিটলেই উনি আমাকে ফোন করবেন। আমি বোলপুরের মানুষ। উনিও বোলপুরের মানুষ।’’ অনুব্রতের দাবি, রামপ্রসাদবাবুর সঙ্গে এ দিন সকালে তাঁর দু’বার কথা হয়েছে।

‘রাম’-কথায় এ ভাবেই সকালের কিছুটা সময় কেটে গেল ‘কেষ্ট’র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন