গান নিয়ে তাঁকে শো-কজ় করেছিল নির্বাচন কমিশন। জবাব দিয়েছেন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু সূত্রের খবর সেই জবাব নিয়ে ফের কাটাছেঁড়া করতে পারে কমিশন। কর্মিসভায় বক্তব্য নিয়ে শো-কজ়ের জবাব দিয়েছেন আসানসোলের মেয়র তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিও।
রাজ্য বিজেপির নির্বাচনী থিম সং গেয়েছেন বাবুল। আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ হওয়ার আগেই গানের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ ওঠে, এই থিম সঙের জন্য বাবুল বা বিজেপি— কেউই কমিশনের অনুমোদন নেননি। পাশাপাশি গানের বিষয়বস্তু নিয়েও আপত্তি তুলেছিল তৃণমূল। এর পরেই বাবুলকে শো-কজ় করে কমিশন।
বাবুল বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, এটাই বলেছি। স্টুডিয়োতে গান তৈরি হচ্ছিল। বাইরে থেকে তা রেকর্ড করে সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। ভোটের বিজ্ঞাপন হিসেবে তা আমি বা আমার দল প্রচার করেনি। ভোটের গান হিসেবে প্রচার করা হলে আমরা অবশ্যই কমিশনের অনুমতি নিতাম।’’
যদিও একটি সূত্রের দাবি, গানটি বাবুলের টুইটারে ছিল। বাবুলের বিরুদ্ধে কমিশন সে বিষয়টি অস্ত্র করতে পারে। বাবুলের জবাব রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) দফতর থেকে দিল্লির নির্বাচন সদনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন সদন থেকে নির্দেশ আসার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে সিইও দফতর।
‘লিড যত, বরাদ্দ তত’— স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বলেছিলেন আসানসোলের মেয়র। এ নিয়ে শো-কজ়ের জবাবে জিতেন্দ্র জানিয়েছেন, ঘরের মধ্যে বৈঠক চলছিল। কাউন্সিলরদের উদ্দেশেই ও কথা বলা হয়েছিল, কোনও ভোটারকে প্রভাবিত করার জন্য নয়। ফলে এই কথায় নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে এমনটা মনে করেন না তিনি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে কোচবিহার জেলাশাসকের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। তা দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী ‘বাড়াবাড়ি’ করলে হাত মুচড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে শো-কজ় করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, উত্তর কলকাতায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত এখনও সম্পূর্ণ হয়নি বলেই খবর।