Lok Sabha Election 2019

বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা নদিয়া পুলিশের

ঘটনার সূত্রপাত ২৩ এপ্রিল তৃতীয় দফার ভোটে। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নদিয়ার করিমপুরের কয়েকটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সাধারণ ভোটারদের লাঠিপেটা করেছেন বলে ব্লক তৃণমূল সভাপতি আজিজুর রহমান মল্লিকের অভিযোগ।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক ও চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০২:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভোটারদের মারধর করার অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে রাজ্য পুলিশ। প্রশাসনের খবর, নদিয়ার করিমপুরের থানারপাড়া থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন করিমপুর-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি আজিজুর রহমান মল্লিক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এফআইআর (এফআইআর নম্বর ৬৩/১৯) দায়ের করে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত ২৩ এপ্রিল তৃতীয় দফার ভোটে। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নদিয়ার করিমপুরের কয়েকটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সাধারণ ভোটারদের লাঠিপেটা করেছেন বলে ব্লক তৃণমূল সভাপতি আজিজুর রহমান মল্লিকের অভিযোগ। তাঁর নির্দিষ্ট অভিযোগের তির কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক পদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেতার অভিযোগ অনুযায়ী, বিএসএফের ৭৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের এক অফিসার অন্তত ১৩টি বুথে সাধারণ ভোটারদের লাঠি দিয়ে মারধর করেছেন। তার ভিত্তিতেই মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির তিনটি ধারা রুজু করেছে নদিয়া পুলিশ।

আজিজুর রহমান মল্লিকের দাবি, ‘‘ভোটের দিন করিমপুর ৭৭ নম্বর বিধানসভা কেন্দ্রের ৩১, ৩২, ৩৪, ৩৫, ৩৮, ৪৫ নম্বর বুথের সামনে সাধারণ ভোটারদের মারধর করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্থানীয় থানায় সেই অভিযোগ জানিয়েছি।’’ করিমপুর ২ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি খেজমত মণ্ডল অবশ্য বলেন, ‘‘এ বারের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল বলেই সকলে নিজের ভোটটা নিজে দিতে পেরেছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সর্বত্র ছাপ্পা দিয়েছিল শাসক দল। কেন্দ্রীয় বাহিনী সক্রিয় থাকায় শাসক দলের অসুবিধা হচ্ছে, কিন্তু সাধারণ ভোটারদের সুবিধা হয়েছে।’’ বিরোধীদের কটাক্ষ, অভিযোগকারী ভোটের দিন নিজেই বিধি ভাঙায় তাঁকে বাধা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই কারণে তিনি পাল্টা মারধরের অভিযোগ তুলছেন।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

প্রশ্ন উঠছে, যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের নিরাপত্তা দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি এফআইআর করা হল কী ভাবে?

রাজ্য প্রশাসনের অন্দরের ব্যাখ্যা, পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী দু’পক্ষই ভোট চলাকালীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যে কারও বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করতে কোনও বাধা নেই। আইনত অভিযোগের তদন্তও হবে। অন্য দিকে রাজ্যের সিইও দফতরের অফিসারদের একাংশের ব্যাখ্যা, নির্বাচনী বিধি মানতে সকলেই বাধ্য। সেখানে নির্বাচন যাঁরা পরিচালনা করছেন, তাঁরাও বাদ যেতে পারেন না। ফলে কেউ কোনও বিধিভঙ্গ করে থাকলে অভিযোগ দায়ের করা যেতেই পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন