অর্জুন সিংহ। —ফাইল চিত্র।
বিজেপিতে যোগ দেওয়া পুর-চেয়ারম্যান ও বিধায়ক অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে পরিকল্পনামতোই অনাস্থা আনলেন ভাটপাড়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররা।
পুরসভার বেশিরভাগ কাউন্সিলরই তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বলে গোড়া থেকেই দাবি করছেন অর্জুন। তারই জবাব দিতে সোমবার ওই পুরসভার ২১ জন কাউন্সিলরকে বিধানসভায় এনে অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করালেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্ব। আরও পাঁচ কাউন্সিলর তাঁদের সঙ্গে থাকবেন বলে দাবি করেছেন ওই জেলার দলীয় সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অর্জুনের সঙ্গে একজনও কাউন্সিলর থাকবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। অন্যদিকে, অর্জুনের বক্তব্য, ‘‘বন্দুক দেখিয়ে কাউন্সিলরদের সই করানো হয়েছে। সই করলেই তো হয়ে গেল না! ভোট তো হবে খোলা ব্যালটে। তখন দেখা যাবে, কারা কার পক্ষে ভোট দিতে আসে।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘সবাই আমার সঙ্গেই আছেন। আসলে ওঁরা সামনে তৃণমূল, পিছনে বিজেপি।’’
অর্জুনের পাশাপাশি ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসকের কাছে ওই অনাস্থার নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের দাবি। নিয়ম অনুযায়ী, অনাস্থা আনার ১৫ দিন পরে ভোটাভুটি করতে হয়। তবে ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক আবুল কালাম আজাদ ইসলামের মতে, ‘‘ভোটের আচরণবিধি লাগু হওয়ার পরে অনাস্থার ভোটাভুটি করা যায় কি না, তার জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মতামত নেওয়া হবে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অর্জুন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর আওতায় থাকা পুরসভাগুলি নিজেদের ‘দখলে’ রাখতে তৎপরতা বাড়িয়েছেন। একের পর এক তৃণমূল নেতা তাঁকে আক্রমণ করছেন। এ দিন জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বলেন, ‘‘খাদ্যে জ্যোতিপ্রিয়র দুর্নীতির পাহাড়! তাঁর দুর্নীতির ফাইল পরপর রাখলে জ্যোতিপ্রিয়র যা উচ্চতা, তাকেও ছাড়িয়ে যাবে।’’ এর জবাবে জ্যোতিপ্রিয় আবার বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করুক না! দিল্লি থেকে তদন্ত হোক না। ওঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হলে তো দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে যেতে হবে।’’