মাঠ ভরাতে বুথ পিছু ১০০, লক্ষ্য বেঁধে দিল বিজেপি

বিজেপি নেতাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সভায় জমায়েত হবে তিন লক্ষের কাছাকাছি। যদিও সরকারি হিসেবে কাওয়াখালির ওই মাঠে লোক ধরে দু’লক্ষের কাছাকাছি।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:১৭
Share:

প্রতি বুথ এলাকা থেকে আনতে হবে ১০০ জনকে। কোনওকারণে তা না হলে জমায়েতের সংখ্যা যেন কোনওভাবেই ৫০-এর নীচে না নামে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার জন্য শিলিগুড়ি সমতলের প্রত্যেক বুথ সভাপতিকে সোমবার এমনই নির্দেশ দিল জেলা বিজেপি। দলীয় সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরের ব্লকগুলোতেও দেওয়া হয়েছে এমন ফরমান। সভায় পাহাড় থেকে জমায়েতের জন্য বিজেপি ভরসা করছে জিএনএলএফ এবং বিমলপন্থীদের উপর।

Advertisement

বিজেপি নেতাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সভায় জমায়েত হবে তিন লক্ষের কাছাকাছি। যদিও সরকারি হিসেবে কাওয়াখালির ওই মাঠে লোক ধরে দু’লক্ষের কাছাকাছি। ময়নাগুড়ির চূড়াভান্ডারে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগেও এমনই দলীয় নির্দেশ জারি হয়েছিল। শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরী বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সভা। সেখানে দলীয় নির্দেশ তো কিছু থাকবেই। কর্মীরা আসবেন। এর বাইরে সাধারণ মানুষের যে ভিড় হবে তা আশা করছি এ যাবৎ শিলিগুড়ি দেখেনি।’’ যা শুনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দেবে কটাক্ষ, ‘‘ওরা তো পাশের রাজ্য থেকে লোক নিয়ে আসে বলে শোনা যায়। এ বারও তাই হবে হয়ত।’’

দলীয় সূত্রের খবর, সমতল শিলিগুড়িতে বিজেপির ২০টি সাংগঠনিক মন্ডল রয়েছে। এরমধ্যে ১৭টি শহর শিলিগুড়িতে, বাকি ৩টি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায়। পাহাড়ে রয়েছে আলাদা ১৩টি মন্ডল। প্রতি মন্ডলের মধ্যে বুথ সংগঠন তৈরি হয়েছে। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে দলীয়ভাবে বুথ ভাগ করা হয়েছে ১৮৫০টি। এরমধ্যে সমতলে রয়েছে ১০৪৮টি। দলের নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় দাবি করেছেন, সমতলের প্রতি বুথ থেকে ১০০ জনের মত আনতে পারলেই লোক সমাগম এক লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর থেকেও বিজেপির কর্মী-সমর্থক আসবেন। বাকি ভিড়ের জন্য ভরসা করা হচ্ছে জিএনএলএফ, বিমলপন্থীদের উপর।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মাটিগাড়ার কাওয়াখালির সভাস্থলের প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে। প্রধানমন্ত্রীর মূল মঞ্চ ছাড়াও বাকি নেতা-নেত্রীর জন্য আলাদা মঞ্চ তৈরি হয়েছে। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা হয়েছে গোটা মাঠ। ডি-জ়োনের সামনে থেকে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা তৈরি হয়েছে। মূল মঞ্চের পিছনে স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা অস্থায়ী দফতর, বসার ব্যবসা রাখা হয়েছে। মাঠ লাগোয়া এলাকায় পার্কিং ছাড়াও সভাস্থলের উল্টোদিকের দুটি মাঠেও পার্কিং ব্যবস্থা থাকছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন