প্রতীকী ছবি।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্রে একাধিক বদল আসছে। কিন্তু তাতে কোনও ‘কলাম’ বা স্তম্ভই ফাঁকা রাখতে পারবেন না প্রার্থীরা। কোনও স্তম্ভ সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না-হলে তা-ও উল্লেখ করতে হবে তাঁকে। অর্থাৎ কোনও স্তম্ভকে নিজের ইচ্ছামতো কেটে দিতে বা উপেক্ষা করতে পারবেন না তিনি।
কোনও আবেদনকারী যদি মনোনয়নপত্রের কোনও স্তম্ভ ফাঁকা রাখেন, তা হলে সেটা তাঁর নজরে আনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের। তিনি নজরে আনার পরে তা পূরণ করতে পারেন আবেদনকারী। তার পরেও যদি স্তম্ভ ফাঁকা থাকে, সে-ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন রিটার্নিং অফিসার।
এ বার থেকে মনোনয়নপত্র পেশের সময় শেষ পাঁচ বছরের আয়করের রিটার্ন জমা দিতে হবে। এত দিন জমা দিতে হত এক বছরের রিটার্ন। বিদেশে আবেদনকারীর সম্পত্তি থাকলে সেই তথ্যও জানাতে হবে। হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের কর্তা হলে তাঁকে পারিবারিক আয়েরও হিসেব দাখিল করতে হবে। প্রার্থীকে নিজের সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্যের পাশাপাশি জানাতে হবে, তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোনও মামলা রয়েছে কি না।
মনোনয়নপত্রের খুঁটিনাটি নিয়ে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বুধবার ভিডিয়ো-সম্মেলন করেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। জেলার তরফে মনোনয়নপত্রের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকেরাও হাজির ছিলেন। ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের বিষয়ে একটি পৃথক ভিডিয়ো-সম্মেলন হয়। সেখানে অন্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার সিইও এবং ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার তথা বঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুদীপ জৈন উপস্থিত ছিলেন। পর্যাপ্ত ইভিএম নিয়ে আলোচনা হয়। কমিশনের একাংশের মতে, কয়েক দিনের মধ্যেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করার কথা। সেই জন্যই এ দিনের বৈঠকে ইভিএমের চূড়ান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হয়।