—ফাইল চিত্র।
নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে দু’বার দু’রকম তথ্য দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।
খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক দিলীপবাবু ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামায় জানিয়েছিলেন, তিনি ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিক কলেজ থেকে পাশ করেছেন। আর শনিবার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়ে কমিশনকে হলফনামায় দিলীপবাবু জানালেন, ১৯৮২ সালে ঝাড়গ্রাম আইটিআই থেকে পাশ করেছেন তিনি। দু’বার দু’রকম তথ্য কেন? দিলীপবাবুর জবাব, ‘‘বিধানসভা ভোটের আগে কমিশনকে দেওয়া হলফনামায় আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্যে ভুল ছিল। এ বার আর ভুল নেই। এই তথ্যের নথিও আছে।’’
তাৎপর্যপূর্ণ হল, ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিক নামে কোনও কলেজ না থাকায় ২০১৬ সালে দিলীপবাবুর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। তথ্যের অধিকার আইনে দিলীপবাবুর শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য জানতে চান বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত এবং অধুনা শিবসেনার রাজ্য সভাপতি অশোক সরকার। ঝাড়গ্রামের সেবায়তনের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ চিঠি দিয়ে তাঁকে জানান, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠা থেকে দিলীপবাবু কোনও ডিপ্লোমা পাশ করেননি। নির্বাচন কমিশনকে হলফনামায় ‘অসত্য’ তথ্য দেওয়ার অভিযোগে দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন অশোকবাবু। পরে অবশ্য হাইকোর্ট এটা জনস্বার্থের বিষয় নয় বলে ওই মামলা খারিজ করে দেয়। এ বার অশোকবাবুও মেদিনীপুর লোকসভায় প্রার্থী। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘এ বার আমি দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করব।’’