প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে ঘাটতি নয়, পুলিশকে বার্তা মমতার 

প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে যেন কোনও ফাঁক না থাকে— সোমবার আসন্ন লোকসভা ভোট নিয়ে রাজ্যের পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ পর্বে এই প্রসঙ্গই বারবার ঘুরে ফিরে এল। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৪২
Share:

—প্রতীকী ছবি

প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে যেন কোনও ফাঁক না থাকে— সোমবার আসন্ন লোকসভা ভোট নিয়ে রাজ্যের পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ পর্বে এই প্রসঙ্গই বারবার ঘুরে ফিরে এল।

Advertisement

প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিদের সঙ্গে পুলিশের সমন্বয়ের ঘাটতি নিয়ে মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন ওঠে। পুলিশের কার সঙ্গে প্রশাসনের আধিকারিকরা যোগাযোগ রাখবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। লোকসভা নির্বাচনে সেই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সে দিকে নজর রাখতে বলেছেন রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) দফতরের কর্তারা।

এ দিন বেঙ্গল চেম্বার অব কর্মাসের কনফারেন্স রুমে প্রশিক্ষণের শুরুতেই প্রসঙ্গটি তোলেন পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা। তিনি জানান, ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশাসনের রিপোর্টের সঙ্গে পুলিশের কোনও রিপোর্টের যেন ফারাক না থাকে। দুই স্তরকেই

Advertisement

একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায়, সমস্যা থেকে সরে গিয়ে অন্যদের কোর্টে বল ঠেলে দেন পুলিশ কর্তাদের কেউ কেউ। কিন্তু এ দিনের প্রশিক্ষণে সিইও দফতরের কর্তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পুলিশ কর্তাদের দায়িত্ব নিতে হবে।

এ বারের ভোটেই প্রথম ‘সি-ভিজিল’ নামক একটি অ্যাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে সাধারণ মানুষ কোনও ঘটনার ছবি সরাসরি পাঠাতে পারবেন। সেই অভিযোগ আসার ১০০ মিনিটের মধ্যেই ‘অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট’ জানাতে হবে অভিযোগকারীকে। এ নিয়ে ‘গাফিলতি’ বরদাস্ত করবে না কমিশন। এ ছাড়াও ‘সুবিধা’ বা ‘সুগম’

অ্যাপের বিষয় এ দিন বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, ইভিএম-ভিভিপ্যাট কী ভাবে সামলাতে হবে, তা-ও বিশদে

পুলিশ কর্তাদের বুঝিয়েছেন সিইও দফতরের কর্তারা।

রাজ্যে কত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান আসবেন, তা নিয়ে এ দিন প্রশ্ন করেছিলেন পুলিশ কর্তারা। সিইও জানান, ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের মতোই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে পারে বলে মনে হয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement