মাইক নিয়ে মামলার খতিয়ান চায় আদালত

‘সাউন্ড লিমিটার’ ছাড়া মাইক বাজানো হয়েছে, এমন অভিযোগ জানিয়ে ক’টি মামলা হয়েছে, জরিমানা হয়েছে ক’জনের— এই ধরনের তথ্য এক মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ও উত্তর-পূর্বের ১৩টি রাজ্যকে পেশ করতে হবে পরিবেশ আদালতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯ ০৪:১৪
Share:

ভোটের বাজারে পরিবেশ বাঁচানোর বিষয়টি যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছেই বিশেষ আমল পাচ্ছে না, সমীক্ষার রিপোর্টে সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই জাতীয় পরিবেশ আদালত জানতে চাইল, গত দেড় বছরে মাইকের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে কত মামলা হয়েছে। এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে সবিস্তার রিপোর্ট চেয়েছে তারা। এই নির্দেশের ফলে অনেকেরই আশা, নির্বাচন পর্বে এ বার মাইকের উপদ্রব থেকে কিছুটা রেহাই মিলবে।

Advertisement

‘সাউন্ড লিমিটার’ ছাড়া মাইক বাজানো হয়েছে, এমন অভিযোগ জানিয়ে ক’টি মামলা হয়েছে, জরিমানা হয়েছে ক’জনের— এই ধরনের তথ্য এক মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ও উত্তর-পূর্বের ১৩টি রাজ্যকে পেশ করতে হবে পরিবেশ আদালতে। এই বিষয়ে হলফনামা দিয়ে আদালতে রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিব, পুলিশের ডিজি এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য-সচিবকে। মঙ্গলবার জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চের বিচারপতি কে রামকৃষ্ণন এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য সত্যবান সিংহ গবরওয়ালের এই নির্দেশের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান-সহ পূর্ব ও উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যই রয়েছে।

লোকসভা ভোটের আগে পরিবেশ আদালতের এই নির্দেশে নাগরিকদের অনেকেই স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন। তাঁরা বলছেন, ভোটের আগে সব দলের প্রচারে মাইকবাজির ঠেলায় কান ঝালাপালা হয়ে যায়। আদালতের নির্দেশ মেনে এ বার হয়তো শব্দের দাপট কিছুটা হলেও কমবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ব্রিগেডে রাজনৈতিক সভার ক্ষেত্রে শব্দবিধি মানা হচ্ছে না বলে পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তার প্রেক্ষিতেই এ দিনের এই নির্দেশ। সুভাষবাবুর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর জাতীয় পরিবেশ আদালত নির্দেশ দেয়, সাউন্ড লিমিটার ছাড়া মাইক বাজানো যাবে না। সেই নির্দেশ পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ও উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যেই জারি করা হয়েছিল। সেই বছরের নভেম্বরে নির্দেশ রূপায়ণ নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছিল আদালত। কিন্তু এ দিন পর্যন্ত কোনও রাজ্যই সেই রিপোর্ট জমা দেয়নি।

রাজ্যগুলি এত দিনেও রিপোর্ট দিতে না-পারায় এ দিন অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা না-পড়লে রিপোর্ট পেশের দায়িত্বে থাকা অফিসারদের মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। সোমবার পরিবেশ সংক্রান্ত অন্য একটি প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য জানিয়েছিলেন, ভোটের প্রচারে সাউন্ড লিমিটার ব্যবহার করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন