প্রতীকী ছবি।
সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন নানা আশ্বাস দিলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে এখনও খামতি থাকছে বলে অভিযোগ সিপিএমের। শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভরসায় না থেকে ‘ভোট লুট’ রুখতে বুথে বুথে মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাল তারা।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব শুক্রবার বলেন, প্রথম দফার ভোট কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে। অথচ কোচবিহারে এ দিনই সবে কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে পৌঁছেছে। ওই দুই জেলায় যে পর্যাপ্ত বাহিনী নেই, তা নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে রবীনবাবুর আহ্বান, ‘‘কমিশন যা প্রতিশ্রুতি বা আশ্বাস দিচ্ছে, এখনও পর্যন্ত তার বাস্তবে প্রতিফলন ঘটছে না। শুধু আধা-সামরিক বাহিনীর ভরসায় থাকলে চলবে না। এ বার ভোট লুট করতে এলে বুথে বুথে মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নিজের ভোট নিজে দিতে হবে।’’ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুও এ দিন মালদহে মন্তব্য করেছেন, ‘‘বিগত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যে ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে। ২০%,৩০% বা ৪০% বুথ বেছে নিয়ে কোনও লাভ নেই। কমিশন সুষ্ঠু ভোট করাতে চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখেই গোটা নির্বাচন করাতে হবে।’’
কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ, যাদবপুর ও ডায়মন্ড হারবার— এই চার লোকসভা কেন্দ্রে কলকাতা ওয়ার্ডগুলি ছড়িয়ে থাকায় ওই চার কেন্দ্রের সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল খরচের ‘নোডাল এজেন্সি’ কলকাতা পুরসভা। ওই চার কেন্দ্রের সাংসদদের টাকা খরচের খতিয়ান দিয়ে পুসসভা পুস্তিকা ছাপিয়েছে এবং তৃণমূল তা বিলি করছে বলেও অভিযোগ সিপিএমের। রবীনবাবুর বক্তব্য, ‘‘করদাতাদের টাকায় পুরসভা এ ভাবে বই ছাপাচ্ছে এবং তৃণমূল ভোটের সময়ে বিলি করছে। কমিশনের কাছে বিধিভঙ্গের অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি।’’