প্রচার: রোড শো-তে কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি।
সব জল্পনার অবসান! দলের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হতেই কালবিলম্ব না করে সোজা নিজের জেলায় পৌঁছে গেলেন। তারপর প্রচারে নেমে পড়লেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি।
এর ফলে কিছুটা বিপাকে বাম শিবির। কারণ রায়গঞ্জ কেন্দ্র নিয়ে তাদের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হোক, সেটাই তারা চেয়েছিল। মহম্মদ সেলিমকে তারা প্রার্থী ঘোষণা করে আগেই প্রচারে নেমেছিল। যা কংগ্রেসের শিবির ভাল ভাবে নেয়নি বলে নেতৃত্বের দাবি।
তাছাড়া, এই আসনের সঙ্গে প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আবেগ জড়িয়ে রয়েছে বলে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁর স্ত্রী দীপাকে প্রার্থী করতে কোমর বেঁধে নেমেছিলেন। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবারও করেন তাঁরা। দীপা নিজেও এ দিন বলেছেন, ‘‘রায়গঞ্জে কংগ্রেসের যে একটা শক্ত মাটি রয়েছে, আসন সমঝোতায় সেটা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। দলের কর্মীরা তা মেনে নিতে পারছিলেন না। কংগ্রেস প্রার্থী দেওয়ায় সবাই খুশি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দিনকয়েক আগেই তুমুল জল্পনা চলছিল, বিজেপির প্রার্থী হতে চলেছেন দীপা। এ ব্যাপারে দীপা নিজে বলেন ‘‘গল্প-কথায় গুরুত্ব দিইনি। সবটাই বানানো। তার কোনও সত্যতা ছিল না।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, ‘‘অনেক কিছু আমরাও শুনছি। তবে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। রায়গঞ্জ আসনে আমরাই শেষ হাসি হাসব।’’
জেলা কংগ্রেসস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘দীপা দাশমুন্সি প্রার্থী হওয়ায় কংগ্রেস শিবির উজ্জীবিত। জোরদার প্রচার শুরু হয়েছে।’’ দীপা জানান, সিপিএমের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি জট পাকিয়ে যাওয়াতে প্রচারের বিলম্ব হল।
তৃণমূলের জেলাসভাপতি অমল আচর্য বলেন, ‘‘কংগ্রসের প্রার্থী না হলে তাদের ভোট বিজেপির দিকে ঝুঁকত বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল। তা হচ্ছে না। আবার ভোট ভাগে আমরাই লাভবান হব।’’
দুপুরে বাগডোগরায় নেমে ইসলামপুরে আসেন। পথে তিস্তামোড় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত কর্মী-সমর্থকদের উল্লাস রোড শো’তে পরিণত হয়। ইসলামপুর পুর আবাসে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক সেরে যান গোয়ালপোখর এবং চাকুলিয়ার কানকিতে। সেখান থেকে ডালখোলায় আসেন। রাতে হেমতাবাদ হয়ে কালিয়াগঞ্জে পৌঁছন।