সহায়ক বুথে কোপ। প্রতীকী চিত্র।
‘ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেল’ বা ভিভিপ্যাট এ বারের ভোট প্রক্রিয়ার নতুন অঙ্গ। কিন্তু কার্যত তারই দাপটে এই নির্বাচনে অন্তত পশ্চিমবঙ্গের কোথাও ‘অগ্জিলিয়ারি বুথ’ বা সহায়ক বুথ থাকছে না। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ কথা জানা গিয়েছে। কমিশনের একটি সূত্রের দাবি, সম্ভবত গোটা দেশেই এ বার বাড়তি বুথ থাকবে না। রবিবার পর্যন্ত অবশ্য তেমন নির্দেশের খবর নেই।
সাধারণ ভাবে একটি বুথে সর্বাধিক ১৪০০ ভোটার থাকে। কোনও বুথে ১৪০০-র বেশি ভোটার থাকলে সেখানে একটি ‘অগ্জিলিয়ারি’ বা বাড়তি বুথ তৈরি করা হয়। কমিশন সূত্রের খবর, এ বার রাজ্যে ৭৮ হাজার ৭৯৯টি বুথের পাশাপাশি ৯৭টি অতিরিক্ত বুথ তৈরির কথা ভেবেছিল মুখ্য নির্বাচনী অফিসার বা সিইও-র দফতর। কিন্তু কমিশনের সদর দফতর থেকে সেই পরিকল্পনা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তাই বিভিন্ন বুথে যে-সব অতিরিক্ত ভোটার রয়েছেন, তাঁদের সংশ্লিষ্ট বুথগুলিতে ভাগ করে দেওয়া হতে পারে।
কমিশন সূত্রের খবর, প্রতিটি ভিভিপ্যাটে সর্বাধিক ১৫০০টি ভোটের হিসেব নথিভুক্ত হতে পারে। অতিরিক্ত ৯৭টি বুথ তৈরি হলে তার প্রতিটিতে একটি করে ওই যন্ত্র লাগবে। সেই অতিরিক্ত যন্ত্র দেওয়া যাবে না। তাই এই সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রিসাইডিং অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও বুথে ১৩০০ ভোট পড়লেই বাড়তি ভিভিপ্যাটের কথা জানাতে হবে সেক্টর অফিসে। গণনাতেও লাগবে ওই যন্ত্র। ঠিক হয়েছে, সব লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি ভিভিপ্যাটের স্লিপ হিসেব করা হবে। বিরোধীদের দাবি, অন্তত ৫০% ভিভিপ্যাট গণনা করতে হবে। এই ব্যাপারে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট দিন দুয়েক আগে তা কমিশনের কাছে জমা পড়েছে।