ঝড়ে ভোট বাঁচাতে কমিশনের প্ল্যান-বি

ফণীর শক্তিক্ষয়ের খবর আসতেই খানিকটা স্বস্তি মিলছে সিইও দফতরের কর্তাদের। সোমবার পঞ্চম দফায় রাজ্যে সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিকে ভোটের জন্য ‘প্ল্যান-বি’ তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৯ ০৪:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

দু’দিন বাদেই পঞ্চম দফার নির্বাচন। তার মধ্যেই ফণীর অশনি সঙ্কেত। কপালে ভাঁজ পড়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতরের অফিসার-কর্মীদের। ভোট করানোর খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর রাখার সঙ্গে শুক্রবার সারা দিনই ইন্ডিয়া মেটেরিওজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি)-এর ওয়েবসাইটে নজর রাখলেন সিইও আরিজ আফতাব। অন্যান্য ক্ষেত্র থেকেও আবহাওয়ার পরিস্থিতির খোঁজ নেন তিনি।

Advertisement

ফণীর শক্তিক্ষয়ের খবর আসতেই খানিকটা স্বস্তি মিলছে সিইও দফতরের কর্তাদের। সোমবার পঞ্চম দফায় রাজ্যে সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিকে ভোটের জন্য ‘প্ল্যান-বি’ তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। সেই বিষয়ে এ দিন উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা নির্বাচন অফিসার তথা জেলাশাসকের সঙ্গে ভিডিয়ো-সম্মেলন করেন সিইও দফতরের কর্তারা।

প্ল্যান বি-তে কী থাকবে?

Advertisement

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বা বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র এবং ভোটার ভেরিফায়েব্‌ল পেপার অডিট ট্রেল (ভিভিপ্যাট) খুবই স্পর্শকাতর। সেই জন্য ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটে যাতে সামান্যতম জলের ছোঁয়া না-লাগে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভোটকর্মীদের কাছে ভোটসামগ্রী দেওয়া এবং জমা নেওয়ার জায়গায় (ডিসি এবং আরসি) প্যান্ডেলগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, সেগুলি আরও কী ভাবে মজবুত করা যায়, জেলা নির্বাচন অফিসারদের তা দেখতে বলা হয়েছে। রাস্তায় গাছ পড়ে ভোটকর্মীদের যাতায়াত যাতে বিঘ্নিত না-হয়, সেই জন্য দ্রুত সেই গাছ সরানোর জন্য একাধিক টিম তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন সিইও দফতরের কর্তারা। কোনও বুথে জল জমে গেলে তা সরানোর জন্য পাম্পের ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাওড়ার ক্ষেত্রে রেলের পাম্পও ব্যবহার করা হতে পারে। পরিস্থিতি খুব খারাপ হলে প্রয়োজনে বুথও স্থানান্তর করা হতে পারে। একই সঙ্গে কোনও বুথে সংস্কার দরকার হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে জেলাগুলি।

ভোটকর্মী, কেন্দ্রীয় বাহিনীর যাতায়াত, বুথে ইভিএম পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সুগম পরিবহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভোটকর্মীদের নিয়ে আসার জন্য বাড়তি পরিবহণের ব্যবস্থা থাকবে। সংশ্লিষ্ট পাঁচটি জেলায় আগেভাগেই বাস বা ছোট গাড়ি ব্যবহার করতে চলেছে কমিশন। নিচু জায়গায় খুব বেশি জল জমলে নৌকাও ব্যবহার হতে পারে। ‘‘ফণীর জন্য পরিস্থিতি এতটা খারাপ হবে না বলেই আশা করছি। তবে প্ল্যান-বি তৈরি,’’ বলেন এক কমিশন-কর্তা।

হাওড়া উদয়নারায়ণপুর, আমতা, হুগলির আরামবাগ মহকুমা একাংশে জল জমার প্রবণতা বেশি। তাই সেখানকার পরিস্থিতির উপরে বাড়তি নজর দিচ্ছে কমিশন। আগামী সোমবার বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, হুগলি, শ্রীরামপুর এবং আরামবাগে ভোট হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন