সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে চায় না কমিশন

কমিশনের খবর, ২৯ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত শেষ চার দফার নির্বাচনে নিরাপত্তার যে পরিকল্পনা আপাতত করা হয়েছে, তাতে প্রথম দফাগুলির মতোই স্পর্শকাতর বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

প্রথম দফার ভোটের পরে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। কিন্তু সেই দাবি নির্বাচন কমিশন মানবে না বলেই ইঙ্গিত মিলছে। কমিশন সূত্রের খবর, প্রথম তিন দফা তো বটেই, রাজ্যের চতুর্থ থেকে সপ্তম দফার নির্বাচনেও বুথ পাহারায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশ।

Advertisement

কমিশনের খবর, ২৯ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত শেষ চার দফার নির্বাচনে নিরাপত্তার যে পরিকল্পনা আপাতত করা হয়েছে, তাতে প্রথম দফাগুলির মতোই স্পর্শকাতর বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে। বাকি প্রতিটি বুথের নিরাপত্তা দেবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ। তবে কমিশন সূত্র জানাচ্ছে, দার্জিলিঙের তিনটি বিধানসভা, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কার্শিয়ঙের প্রায় ৮০ শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফলে সেখানে বেশির ভাগ বুথেই বাড়তি নজর দিতে পারে কমিশন।

চতুর্থ থেকে সপ্তম, এই চার দফাতেই দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভোট হবে। সংখ্যার বিচারে সব থেকে বেশি কেন্দ্রে ভোট তো বটেই, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই চার দফার ভোট। সেই ভোটের হিসেব করেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলেছিল বিরোধীরা।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কমিশনের খবর, মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার সেক্টরের দায়িত্বে চার জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন বলে প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে। বুথ, কুইক রেসপন্স টিম এবং স্ট্রং রুমের পাহারার দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। বাকি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকতে পারেন রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশের জওয়ানরা।

নির্বাচন কমিশন আগেই বলেছিল, চুক্তিভিত্তিক কোনও কর্মীকে ভোট-নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত রাখা যাবে না। সম্প্রতি এই বিষয়টি ফের মনে করিয়ে দিয়েছে তারা। অভিযোগ উঠেছে, প্রথম দফার নির্বাচনে দু’একটি ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাকে রাজ্য পুলিশ কর্মীদের ঘুরতে দেখা গিয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এই কারণেই সম্ভবত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের কথা ফের মনে করিয়েয়েছে কমিশন।

শনিবার দিল্লির নির্বাচন সদনে গিয়ে কমিশন কর্তাদের কাছে প্রথম দফার ভোটের রিপোর্ট পেশ করেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফার ভোটের আগেই রাজ্যে কম বেশি ১৩০ কোম্পানি বাহিনী আসতে পারে। দিল্লি যাওয়ার আগে বিবেক বলেন, “দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছি।’’

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর সূত্রের খবর, প্রথম দফার নির্বাচনের দিন আলিপুরদুয়ার থেকে ৯৬টি এবং কোচবিহার থেকে ৬১১টি অভিযোগ পেয়েছিল কমিশন। নির্ধারিত ১০০ মিনিটের মধ্যে সব অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলে সিইও দফতরের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন