—ফাইল চিত্র।
আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে বৃহস্পতিবারের ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশেষ রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন বিশেষ পুলিশ-পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। লোকসভা নির্বাচন পর্বে রাজ্যে আসা ওই বিশেষ পুলিশ-পর্যবেক্ষককে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তলব পেয়ে আজ, শনিবারেই কলকাতা থেকে দিল্লি রওনা হন বিবেক। প্রথম দফার ভোট পর্বের পরেকার পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন কমিশনের সদস্যেরা।
প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের ওই দুই কেন্দ্রের ভোট নিয়ে বিশেষ রিপোর্টে বিবেক সুপারিশ করেছেন, পরবর্তী দফার নির্বাচনে যত বেশি সম্ভব কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হোক পশ্চিমবঙ্গে। যদিও প্রথম পর্বে দু’চারটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোট শান্তিতেই মিটেছে। সাধারণ এবং পুলিশ-পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টেও মারাত্মক রিগিংয়ের কোনও খবর নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে কমিশনে যে-রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, আলিপুরদুয়ারে ২০-২৫টি বুথে এবং কোচবিহারে ৫০-৬০টি বুথে রিগিংয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে থাকতে পারে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) অন্তত ৫০টি ক্ষেত্রে অভিযোগ পেয়ে বুথ থেকে বেআইনি জমায়েত সরিয়ে দিয়েছে বলেও কমিশনে রিপোর্ট দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তারা।
বিশেষ পুলিশ-পর্যবেক্ষক মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা জানালেও কমিশনকে লিখেছেন, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে রাজ্য পুলিশের উপরে আর কারও আস্থা নেই। রাজ্য সরকারি কর্মী হয়েও অনেক ভোটকর্মী বিভিন্ন জায়গায় আরও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোটারেরা কোনও কোনও বুথে তালা পর্যন্ত লাগিয়ে দেন। রাজ্য পুলিশ দিয়ে অবাধ ভোট সম্ভব কি না, রাজ্যের বিশিষ্টজনেরাও সেই বিষয়ে সন্দিহান। এই অবস্থায় যত বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসবে, ভোটারদের মনোবল ততই বাড়বে বলে মনে করছেন বিবেক।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দিল্লিতে তলব প্রসঙ্গে বিবেক বলেন, ‘‘রাজ্যে প্রথম দফার ভোটের ব্যাপারে কমিশন বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর পেয়েছে। পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট গিয়েছে। আমিও এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি যাচাই করেছি। পরের বিভিন্ন দফার ভোট নিয়ে যাতে কোনও প্রশ্ন না-ওঠে, সেই লক্ষ্যে কমিশন কিছু পদক্ষেপ করবে। মূলত সেই আলোচনাই হবে দিল্লির বৈঠকে।’’
কমিশন সূত্রের খবর, শনি-রবিবার কমিশন ‘বাংলা’ নিয়ে বিশেষ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারে।