—ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের দিন উত্তর দিনাজপুর জেলার সমস্ত বুথ সংলগ্ন এলাকায় হেল্পডেস্ক চালু রাখবে নির্বাচন কমিশন। তাদের দাবি, ওই হেল্পডেস্ক থেকে কমিশনের কর্মীরা ভোটারদের ভোটদান বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন। কমিশনের নির্দেশে গত ৩০ মার্চ ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) কৃষ্ণেন্দু বসাক জেলার নয়টি ব্লকের বিডিওদের লিখিত ভাবে প্রতিটি বুথ এলাকায় এই হেল্পডেস্ক চালুর নির্দেশ দেন। এই সিদ্ধান্তে খুশি ডান-বাম সমস্ত রাজনৈতিক দল। প্রতিটি দলেরই দাবি, নির্বাচনের দিন কমিশন হেল্পডেস্ক চালু করলে ভোটারদের হুমকি ও চাপ দেওয়ার ঘটনা বন্ধ হবে।
রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক রজতকান্তি বিশ্বাস জানান, হেল্পডেস্ক থেকে কমিশনের কর্মীরা ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোটারদের পার্ট ও সিরিয়াল নম্বর দেবেন। ভোটারেরা বুথে গিয়ে ভোটকর্মীদের সেই সব নম্বর দেখিয়ে যাতে দ্রুত ভোট দিতে পারেন, তাই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জেলার নয়টি ব্লক মিলিয়ে তিনটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় বুথের সংখ্যা ২০৭৬টি। ইটাহার ব্লক বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্র ও চোপড়া ব্লক দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে। বাকি রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, করণদিঘি, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর-১ ও ২ ব্লক মিলিয়ে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র হয়েছে।
কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনের দিন ভোটারদের ভোটদানের ব্যাপারে বিভিন্ন সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট বুথ থেকে ২০০ মিটারের বেশি দূরত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শিবির করতে পারে। এতদিন বিভিন্ন নির্বাচনের দিন সেই শিবির থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মীরা ভোটারদের পার্ট ও সিরিয়াল নম্বর দিয়ে সহযোগিতা করতেন।
বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল পৃথক ভাবে হলেও জানিয়েছেন, কমিশন এ বছর জেলার প্রতিটি বুথ সংলগ্ন এলাকায় হেল্পডেস্ক চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তাঁরা খুশি। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৬-র বিধানসভা, ২০১৭-র পুরসভা ও গতবছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন জেলার সমস্ত
বুথের অদূরেই তৃণমূলের শিবির হয়েছিল। সেখান থেকে ভোটারদের একাংশের উপর চাপসৃষ্টি করা হয়। তাঁদের কথায়, কমিশনের হেল্পডেস্ক চালু হলে ভোটারদের পার্ট ও সিরিয়াল নম্বর নেওয়ার জন্য কোনও রাজনৈতিক দলের শিবিরে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। ফলে তাঁদের উপরে হুমকি ও তাঁদের উপর চাপসৃষ্টির ঘটনা বন্ধ হবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের পাল্টা অভিযোগ, অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনের দিন বিরোধীরাই জেলার সমস্ত বুথের অদূরে শিবির করে। ভোটারদের সহযোগিতার নামে সেই শিবির থেকেই তারা বিরোধী প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। তাই লোকসভা নির্বাচনে জেলার সমস্ত বুথের পাশে কমিশনের হেল্পডেস্ক চালু করার সিদ্ধান্তকে দলের তরফে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।