‘গোলমেলে’ রিপোর্টে বিভ্রান্ত কমিশন

নির্বাচন কমিশন পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের ওই সব রিপোর্ট ব্যক্তিগত ভাবে পরীক্ষা করে নতুন করে রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০৩:০০
Share:

—ফাইল চিত্র।

গোলমালপ্রবণ এলাকার চেয়ে গোলমালকারীর সংখ্যা কম! এমনই রিপোর্ট পৌঁছেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে। সেই রিপোর্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে ‘বিভ্রান্তি’। নির্বাচন কমিশন পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের ওই সব রিপোর্ট ব্যক্তিগত ভাবে পরীক্ষা করে নতুন করে রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি জেলা, সুন্দরবন ও বসিরহাট পুলিশ জেলা এবং আসানসোল-দুর্গাপুর, চন্দননগর এবং হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের গোলমালপ্রবণ এলাকার যে সংখ্যা কমিশনে জমা পড়েছে, তার থেকে হাঙ্গামাকারীর সংখ্যা কম। সংশ্লিষ্ট কর্তাদের মতে, রিপোর্ট তৈরিতে কোথাও গোলমাল হয়েছে। এলাকায় গোলমালকারী না থাকলে সেটা গোলমালপ্রবণ এলাকা হবে কী করে!

তাই হাঙ্গামাকারীদের পুনরায় চিহ্নিত করে নতুন রিপোর্ট পাঠানোর জন্য পুলিশ কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এক পুলিশ কর্তা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। দু’-একদিনের মধ্যেই রাজ্য প্রশাসনের কাছে তা পৌঁছে যাবে। এ দিকে আজ, শুক্রবার রাজ্যে আসছে দশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সীমান্তরক্ষীর বাহিনীর জওয়ানেরা ন’টি জেলায় টলহদারির কাজ করবেন। পাশাপাশি, ভোটের খুঁটিনাটি বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করবেন প্রিসাইডিং অফিসারেরা। সেই অ্যাপের বিষয়ে মহড়াও আজ, শুক্রবার শেষ করবেন জেলাশাসকেরা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ভোটার সহায়ক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই বঙ্গেও ছ’জন ‘সুগম পর্যবেক্ষক’ নিয়োগ হয়েছে। রাজ্যের ছ’জন ডিভিশনাল কমিশনার এই দায়িত্ব সামলাবেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন