সুরক্ষার খাতিরে ইভিএম, ভিভিপ্যাট একই ঘরে

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটের নিরাপত্তা ভুগিয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। ওই সব সরঞ্জামের নিরাপত্তায় তাই এ বার ফাঁকফোকর রাখতে চায় না তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩৫
Share:

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটের নিরাপত্তা ভুগিয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। ওই সব সরঞ্জামের নিরাপত্তায় তাই এ বার ফাঁকফোকর রাখতে চায় না তারা। তাই ভোটভর্তি ইভিএম-ভিভিপ্যাটকে একাধিক স্ট্রংরুমে না-রেখে এক রাখা হবে জায়গায়। যেখানে প্রবেশ-প্রস্থানের পথ একটিই। সেই স্ট্রংরুমের দায়িত্ব থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

Advertisement

রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা ক্রমে বাড়বে বলেই জানান কমিশনের একাংশ। আধাসেনাদের থাকা-খাওয়া, পরিবহণে যাতে কোনও অসুবিধা না-হয়, তা সুনিশ্চিত করতে চায় মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতর। তাই শৌচালয় বা নলকূপ তৈরির করার জন্য জনস্বাস্থ্য এবং পূর্ত দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে তারা।

দেশের ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রেই ইভিএম বা বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভিভিপ্যাট (ভোটার ভেরিফায়েব্‌ল পেপার অডিট ট্রেল)। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ওই সরঞ্জামের নিরাপত্তা নিয়ে যে ভুগতে হয়েছিল, বাংলার জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে তা মনে করিয়ে দেন উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তাঁর নির্দেশের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই ভোটভর্তি ইভিএম-ভিভিপ্যাট এক জায়গায় রাখা হবে। সেই সব জায়গার পাহারায় কত আধাসেনা প্রয়োজন, তা স্থির করে জেলা প্রশাসনকে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সিইও। এ বার সংরক্ষিত ইভিএম থাকা সেক্টর অফিসের গাড়িতে জিপিএস-ও রাখা হচ্ছে। যাতে কমিশন এবং সিইও দফতর থেকে নজরদারি চালানো যায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ যে-সব জায়গায় থাকবে, সেখানে কোম্পানি-পিছু ১০টি শৌচালয়, দু’টি নলকূপ এবং দু’হাজার লিটারের দু’টি জলাধার রাখতে হবে। সেগুলো তৈরি করবে জনস্বাস্থ্য দফতর। অস্থায়ী ছাউনিতে রান্নাঘর, খাওয়ার ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে পূর্ত দফতরকে। যা হবে ৮০০ বর্গফুটের। বাহিনীর থাকার জায়গা চিহ্নিত করবেন জেলা নির্বাচন অফিসার তথা জেলাশাসক, পুলিশ সুপার বা কমিশনার। এই বিষয়ে যোগাযোগ রাখবেন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)। বাহিনীর বিষয়ে সমন্বয়ের জন্য সব পুলিশ-জেলায় নোডাল অফিসার দিতে হবে। সেখানে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের পোস্টাল ব্যালটের বিষয়ে এক জন নোডাল অফিসার নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সব বিষয়ে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকা-খাওয়া বা পরিবহণে সামান্যতম ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলে সমস্যা বাড়তে পারে। সেই জন্য এ ভাবেই তাদের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন