রেলের এক আধিকারিক জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা এবং রেলের নিয়ম মেনেই টাকা দিয়ে বিজেপির তরফে ওই চারটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
ঝাড়গ্রাম, লালগোলা, পুরুলিয়া ও রামপুরহাট থেকে আজ, বুধবার ভোরবেলা চারটি বিশেষ ট্রেন ছাড়বে। সাধারণ যাত্রীরা নন, তাতে থাকবেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের গন্তব্য কলকাতা। ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের হাজির করতে ৫৩ লক্ষ টাকা খরচ করে ওই চারটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে বিজেপি। তারা আজ থেকেই সেই সব ট্রেনে কর্মী-সমর্থকদের হাওড়া ও কলকাতা স্টেশনে আনার ব্যবস্থা করেছে।
রেল সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও রামপুরহাট থেকে ছাড়া তিনটি ট্রেন হাওড়ায় আসবে। লালগোলা থেকে ছাড়া ট্রেনটি পৌঁছবে কলকাতা স্টেশনে। কয়েক দিন আগে বিজেপির পক্ষ থেকে দলীয় কর্মীদের কলকাতায় আনার জন্য ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড টুরিজম কর্পোরেশন বা আইআরসিটিসি-র মাধ্যমে ‘ফুল ট্যারিফ রেট’ (এফটিআর) অর্থাৎ ভাড়ার নির্দিষ্ট হার মেনে চারটি ট্রেন নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ট্রেনের সব আসনে যাত্রী থাকলে যে-ভাড়া পড়ে, তার থেকে কিছু বেশি টাকা দিতে হয়।
রেলের এক আধিকারিক জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা এবং রেলের নিয়ম মেনেই টাকা দিয়ে বিজেপির তরফে ওই চারটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। চারটি ট্রেনেই সাধারণ শ্রেণির কামরা থাকবে। সমাবেশ শেষ হওয়ার পরে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ট্রেনগুলি নির্দিষ্ট গন্তব্যে ফিরে যাবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মোদীর জনসভার জন্য শিয়ালদহ ডিভিশনে ছ’জোড়া অতিরিক্ত ট্রেন চালাবে রেল। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে শিয়ালদহ থেকে দমদম, নৈহাটি, কল্যাণী, রানাঘাট, বারুইপুর, সোনারপুরের দিকে চলবে সেই সব ট্রেন। সমাবেশের পরে শিয়ালদহে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে বলে অনুমান করেই অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হচ্ছে। তবে পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলে লোকাল ট্রেন বাড়ানোর খবর নেই।